করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে প্রথম বিদেশ সফরে শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দুই দিনের এ সফর সামনে রেখে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন মোদি।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে মোদি লিখেছেন, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। দুই দেশের মানুষের মধ্যকার সদ্ভাবও প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলেও জানান মোদি। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গত শতকের মহানতম নেতা। তার জীবন ও আদর্শ কোটি মানুষের পথপ্রদর্শক।’
সফরকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন মোদি। পরে হিন্দু পুরাণে বর্ণিত ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম সাতক্ষীরার প্রাচীন যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে দেবী কালীর উদ্দেশে পূজাও দেবেন তিনি।
বিবৃতিতে মোদি বলেন, ‘বিশেষ করে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই আমি, যেখান থেকে শ্রীশ্রী হরিচন্দ্র ঠাকুর তার জ্ঞানের বার্তা ছড়িয়েছিলেন।’
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি। পরে বাংলাদেশের বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
বিবৃতিতে শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ভারত।
এ সময় করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের লড়াইয়ে একাত্মতাও প্রকাশ করেন মোদি।