বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোদির সফরের প্রতিবাদে ঢাবিতে আয়োজন নিয়ে বিতর্ক

  • মনিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি   
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ১৯:১৮

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের প্রতিক্রিয়ায় মৌলিক বাংলা নামে একটি সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গরু জবাই করে জেয়াফতের আয়োজন করে। তবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। লাঠিশোঠা নিয়ে তাদের হামলায় এক জন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আয়েজনে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বাধায় শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত ওই কর্মসূচি পালন করা যায়নি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের আয়োজনে শুক্রবার দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন মোদি। তার এই সফরের প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠন কয়েকদিন ধরেই সোচ্চার।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ‘ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের শেষ কৃত্যানুষ্ঠান’ এর ব্যানারে এক জেয়াফতের আয়োজন করা হয়।

এই আয়োজনের জন্য ভোর ছয়টায় শাহবাগ এলাকায় গরু জবাই করা হয়।

হিন্দু ধর্মে গরু খাওয়া নিষিদ্ধ দাবি করে ভারতে বিজেপি শাসনামলে প্রকাশ্যে গরু জবাই করা নিয়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। গরুর মাংস খাওয়ায় হামলা হয়েছে বেশ কয়েকজন মুসলমানের ওপর। এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, মোদির ঢাকা সফরকে সামনে রেখে গরু জবাই করে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

তবে এই আয়োজনে জড়িতরা নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন ‘মৌলিক বাংলা’র সদস্য হিসেবে। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার।

মোদি হিন্দুধর্মাবলম্বী বলেই কি গরু কোরবানি জানতে চাইলে আবু মোস্তাফিজ পরিচয় দেয়া একজন বলেন, ‘না না, সীমান্তে যারা হত্যা হয়েছে তাদের স্মরণে আমাদের এই কুরবানি।

মেহরাব পিয়াস নামে আরও একজন বলেন, ‘বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ টিএসসির পায়রা চত্বরে দেড়শ কেজি খিচুড়িসহ জেয়াফতের খাবার বিতরণ শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ছাত্রলীগের একটি দল লাঠিসোঁটা সহ আক্রমণ করে। এতে ঢাকা ট্রিবিউন এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবিদ হাসান রাসেলসহ আমাদের ১০/১৫ জনকে আহত করে ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’

হামলার পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে খাবার বিতরণ আবার শুরু হয় বলেও জানান মেহরাব পিয়াস।

তবে রাতুল মোহাম্মদ নামে আরেকজন বলেন, ‘ভারতের মুসলিম নিধনকারী সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন এ দেশের অসাম্প্রদায়িক মানুষের জন্য অপমানের। এর প্রতিবাদেই দেশের জেয়াফতের ঐতিহ্য ধারণ করে আমাদের এই কর্মসূচি।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ বরাবরই আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে। এখন তারা নরেন্দ্র মোদির পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ শুরু করছে।’

“হামলার প্রতিবাদে আমরা ‘মাতম’ মিছিলের পাশাপাশি ছাত্রলীগ তথা ভারতীয় আজ্ঞাবহ স্বৈরাচারী সরকারকে ধিক্কার জানাতে আমরা ‘মার্সিয়া’ করব”- পরবর্তী পদক্ষেপ বর্ণনা করে বলেন রাতুল।

ছাত্রলীগের হামলা

বিকেলে ‘জেয়াফত’ শুরুর আগেই ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় । এ সময় হামলার ভিডিও ধারণ কালে বাংলা ট্রিবিউনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবিদ হাসান রাসেলকে ব্যাপক মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েজন।

আবিদ হাসান রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জহুরুল হক হলের এস এম রিয়াদ, আমির হামজা, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তামিম আমার উপর হামলা করছে।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জেয়াফত শুরুর আগে ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন লাঠি নিয়ে আয়োজকদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় তাদের কয়েকজনকে মারধরও করা হয়।

“আমি ঘটনার ভিডিও করলে তামিম বলে উঠে, ‘এই ভিডিও করছে কে? একে ধর' । এ সময় সবাই আমার দিকে তেড়ে এসে আমাকে লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলেও আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমাকে আবার মারধর শুরু করে। পরে কয়েকজন বড় ভাই সাংবাদিক এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়৷”

তবে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে মাজহারুল ইসলাম তামিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ঘটনা দেখিনি ৷ আমি কিছুই জানি না।’

এ বিভাগের আরো খবর