ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিক্রিয়ায় দেশে বিভিন্ন সংগঠন ও দল যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাকে ‘গুটিকয়েক মানুষের’ বিরোধিতা হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এসব ঘটনায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে শুক্রবার ঢাকায় আসছেন মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকারপ্রধান।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতার এই সফরের বিরোধিতা করে কওমি মাদ্রসাকেন্দ্রিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পাশাপাশি বামপন্থি সংগঠন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সাধারণ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ মাঠে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার মতিঝিল এলাকায় অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলাও করেছেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বামপন্থি সংগঠনের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মোদির সফর নিয়ে গুটিকয়েক মানুষ বিরোধিতা করছে, এটা কোনো বড় ইস্যু হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মোদিবিরোধী আন্দোলন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
মোদির সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার কথাও জানান মন্ত্রী।
‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারোর সঙ্গে বৈরিতা নয়’ শিরোনামে গুলশানে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে এক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করতে যান মোমেন।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই আয়োজন করে।
এক প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে পাঁচটির বেশি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।