প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আইনুসবাগ (চাঁদনগর) এলাকায় মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দেয়া আমিনুল ইসলাম হান্নানসহ ১৮ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে নিহত আব্দুর রশিদের বড় ভাই হারুন অর রশিদ একটি মামলা করেন। এতে হান্নানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা পাঁচজনসহ মোট ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অস্ত্র আইনে অপর একটি মামলা করেছেন থানার উপপরিদর্শক(এসআই) আজহারুল ইসলাম। অস্ত্র আইনে ওই মামলার একমাত্র আসামি হান্নান।
হত্যায় ব্যবহৃত একটি শর্টগান ও একটি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। দুটিই হান্নানের লাইসেন্স করা অস্ত্র।
দুই মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হাফিজুর রহমান রিয়েল।
তিনি জানান, তারা এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। তারা হলেন হান্নান, একরামুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ইমরান, আল-আমিন প্রধান, জহুরুল ইসলাম রিপন, খোরশেদ আলম, মোশাররফ হোসেন ও নুরুন নবী।
তাদের সকালেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অস্ত্র ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা ধরনের অত্যাচারের অভিযোগ আছে হান্নান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। চাঁদা দিতে না চাইলে হামলা-হুমকি একেবারেই সাধারণ ঘটনা সেখানে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণখানের আইনুসবাগ এলাকায় হান্নানের বাড়ির সামনে রশিদকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে হান্নানের বিরুদ্ধে। রশিদকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় কেসি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রশিদকে গুলি করার পর কিছু লোকজন হান্নানের বাড়ির সামনে থাকা তার একটি জিপ গাড়ি আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। বাইরে থেকে হান্নানের বাড়িতে ইট-পাটকেলও ছুড়ে মারে তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের (দক্ষিণখান) অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজুর রহমান রিয়েল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বালু ফেলাকে কেন্দ্র করে ১ লাখ টাকা চেয়েছিলেন হান্নান। টাকা না দেয়ায় বালু চুরি হয়। আজকে বালু চুরির বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদার ও তার ভাই-চাচা এসেছিলেন। কথা বলার একপর্যায়ে শর্টগান দিয়ে গুলি করেন হান্নান। এতে রশিদ নামে একজনের মৃত্যু হয়।’