বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রশাসনে পদোন্নতি: পুনর্বিবেচনার আবেদন বঞ্চিতদের

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ১৮:৩৭

সম্প্রতি প্রশাসনে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে ৩৩৭ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয় সরকার। গত ৭ মার্চ এই পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করে। তবে প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতিবঞ্চিত ২০০ জন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন।

উপসচিব পদে পদোন্নতি না পেয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন মাঠ প্রশাসনে কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা।

এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানিয়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে জনপ্রশাসন সচিবের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র সহকারী সচিব।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অনেকের কাছ থেকে আবেদন পেয়েছি। আমরা এসএসবিতে আবেদনগুলো যথাযথভাবে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

সম্প্রতি প্রশাসনে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে ৩৩৭ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয় সরকার। গত ৭ মার্চ এই পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করে।

এই ৩৩৭ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনে দায়িত্বরত আছেন।

ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের অন্তত ২০০ জন পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, যাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানও রয়েছেন।

তাদের দাবি, ইকনোমিক ক্যাডারের প্রায় শতভাগ কর্মকর্তার পদোন্নতি হলেও বঞ্চিত হয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এ কারণে কর্মস্থলের পাশাপাশি পরিবার-পরিজনের কাছেও হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন এবং তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে বলে মনে করছেন এসব কর্মকর্তা।

বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সচিব বরাবর আবেদন জানানো এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবশেষ জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে যে গোপন প্রতিবেদন নেয়া হয়েছে, সেখানেও অনেক কর্মকর্তার রিপোর্ট বেশ ভালো ছিল। তার পরও আমাদের পদোন্নতি দেয়া হয়নি।’

আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিজের কাজটা আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করি। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তারপরও কিসের ভিত্তিতে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হলো আমাদের?’

মাঠ প্রশাসনের আরেক সিনিয়র সহকারী সচিব প্রশ্ন রেখে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এসএসবি কি শুধু লোক দেখানো? দীর্ঘ পাঁচ মাস শুধু এসএসবি মিটিং করা হলো। যাদের বঞ্চিত করা হলো তাদের মানসিক অবস্থা কী একবারও ভেবে দেখবে না কর্তৃপক্ষ?’

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হওয়ার কারণে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন এসব কর্মকর্তা।

তাদের দাবি, প্রায় আড়াই বছর পর দেয়া হলো এই পদোন্নতির ঘোষণা। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচ পর্যন্ত ১৫১ জনের মধ্যে মাত্র ৩২ জন কর্মকর্তা পেয়েছেন পদোন্নতি। ২৭তম ব্যাচের প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তাও পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, যাদের অনেকেই করোনার সময়ে ঝুঁকি নিয়ে মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সচিবের কাছে দেয়া আবেদনে তারা বলেছেন, ‘গত ৭ মার্চ প্রকাশিত উপসচিব পদে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার এবং পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের বিষয়ে এসএসবি রিভিউ মিটিংয়ের আবেদন জানাচ্ছি।’

মুজিববর্ষে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মনে করি, ন্যায়বিচার হয়েছে। কারও প্রতি অবিচার হয়নি।’

পদোন্নতির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে জানিয়ে ইউসুফ হারুন বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী তার (কর্মকর্তাদের) এসিআরের মার্কস বা চাকরির সময়কাল বা প্রতিবেদন- সবকিছু বিবেচনা করে একটি এসএসবি এখানে পদোন্নতি দেয়।’

পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘যারা পদোন্নতি পাননি, তাদের অনেকের হয়তো মার্কস নেই, অনেকের হয়তো প্রতিবেদন খারাপ, অনেকের বিভাগীয় মোকদ্দমা রয়েছে। কিন্তু যখন সাংবাদিক সাহেবদের সঙ্গে তারা আলাপ করেন এ কথাগুলো কিন্তু বলেন না। আর সিক্রেট ডকুমেন্টস হিসেবে আমরাও জনসম্মুখে সব সময় প্রচার করতে পারি না।’

এ বিভাগের আরো খবর