রাজধানীর দক্ষিণখানের আইনুসবাগে রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলায় আট আসামিকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নানকে চার দিনের এবং বাকি সাতজনের প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড দেয়া হয়।
রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর সাতজন হলেন জাপানি হান্নানের ছেলে ইকরামুল ইসলাম, হান্নানের ভাই শফিকুল ইসলাম, তাদের সহযোগী আল আমীন প্রধান, জহুরুল ইসলাম রিপন, খোরশেদ আলম, মোশারফ হোসেন ও নুরুন নবী।
বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিনখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম আবু সাঈদ শুনানি শেষে জাপানি হান্নানকে চার দিনের এবং বাকি সাতজনের প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণখানের আইনুসবাগ (চাঁদনগর) এলাকায় বালু চুরিকে কেন্দ্র করে আব্দুর রশিদকে জাপানি হান্নান গুলি করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে হান্নানের গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন।
নিহত আব্দুর রশিদের বাড়ি রাজধানীর আশকোনার পানির পাম্পের পাশে। আগে তিনি গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কারখানা পরিচালনা করতেন। সেটি বন্ধ করে ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তি রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন।
ঘটনার দিন বুধবার রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবার জাপানি হান্নানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় হত্যা মামলা করে।
ঘটনাস্থল থেকে জাপানি হান্নানকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে দক্ষিণখান পুলিশ। এ ছাড়া তার আরও আট সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হান্নানের আরও কয়েকজন সহযোগী পলাতক রয়েছেন।
তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে নিউজবাংলা নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম।