রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়েছে আদালত। আগামী ৯ জুন নতুন তারিখ দিয়েছেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার মামলার অধিকতর অভিযোগ শুনানির জন্যে দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
হাজতি অথবা কারাগারে থাকা আসামিদের উপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ শুনানি করা আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক। তাই অভিযোগের শুনানি করা সম্ভব হয়নি।
এজন্য সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানির পরবর্তী এ তারিখ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার পারভেজ ভূইয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযোগপত্রভূক্ত আসামিরা হলো, সালাহ্ উদ্দিন কামরান, রাকিকুল হাসান রিগ্যান, আব্দুর রউফ প্রধান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান, মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন, আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট, মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর, আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ও হাদিসুর রহমান সাগর।
২০১৯ সালের ১৮ জুলাই কল্যাণপুরের জাহাজবাড়ি নামে খ্যাত জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক দশ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
ওইদিন একইসঙ্গে আজাদুল কবিরাজ নামের পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয় আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ৯ মে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে ‘জাহাজ বিল্ডিংয়ে’ জঙ্গি আস্তানায় রাতভর অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এক ঘণ্টার ওই অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত ও একজন আহত হন। তারা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই ঘটনার দুদিন পর মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শাহ জালাল আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন।
সেই মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়।
গত বছর ৩ নভেম্বর, কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠন চতুর্থবার পিছিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ মুলতবি রেখে শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।