মতিঝিলের শাপলা চত্বরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আটক করা ইসলামিক ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি বলেও নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন মতিঝিল পুলিশ জোনের সহকারি উপকমিশনার নূরুল আমিন।
এর আগে বেলা ১২টায় বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের দুইজন সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম ও ওয়াহিদুর রহমান।
সেখান থেকেই ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানিসহ আটক করা হয় অন্তত ১০ জনকে। এরপর পুলিশ তাদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।
রাজধানীর জিরো পয়েন্টের মুক্তাঙ্গনে পূর্বঘোষিত সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে শাহবাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা কর্মীরা। মাঝে পল্টন মোড়ে তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মিছিলে যোগ দেয় বারিধারা মাদ্রাসার ইসলামিক শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানি ও তার সমর্থকরা।
রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলাশিশুবক্তাসহ আটকদের বিষয়ে কি ব্যবস্থা হবে, কোন মামলা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মতিঝিল জোনের ডিসির নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন।
পুলিশের ওপর হামলায় একটি মামলা হবে, তাতে কাদেরকে আসামি করা হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিউজবাংলাকে জানান মতিঝিল জোনের সহকারি উপ কমিশনার নূরুল আমিন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যোগ দিতে ঢাকা সফরে আসছেন প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। এরই মধ্যে ঢাকা সফর করে গেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ও নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। বর্তমানে সফরে রয়েছেন ডা. লোটে শেরিং।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরে আসার কথা ২৬ মার্চ। এবারের সফরে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঢাকার বাইরেও যাবেন মোদি। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর পরিদর্শন করবেন সেখানকার ওড়াকান্দি ও সাতক্ষীরায় দুটি মন্দির।
পুলিশের এক সদস্যের ওপর বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের হামলা। ছবি: নিউজবাংলাতার এ সফর ঠেকাতে বিক্ষোভ করছে ইসলামপন্থি কয়েকটি সংগঠন। একই দাবিতে নানা কর্মসূচি দিচ্ছে ছাত্র অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি বাম সংগঠনও। দুই পক্ষই ভারতীয় সরকারপ্রধানের সফর ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।
গত জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে কয়েক হাজার মুসল্লি। বিক্ষোভ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘যদি মোদিকে আসতে দেয়া হয়, তাহলে আমরা সবাই সন্ত্রাসে পরিণত হব। বাংলা হবে আফগান, আমরা হব তালেবান।’