নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে গুলশান থানা পুলিশ।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কারাগারের ২ নম্বর ভবনে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলায় হাজিরা দেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেসবাহ।
এরপর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই তার পক্ষে অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত বাকি অভিযোগ শুনানির জন্য ৪ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেছে।
আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেসবাহ নিউজবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন ।
গত ২ মার্চ এই মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৫ ধারায় আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দাখিলের আবেদন করেন মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করে।
তাই আজ তার পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ হাজিরা দেন৷
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ৷
এর মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা যাওয়ায় তাকেও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।