বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বৈঠকে পুলিশ

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ১৫:৪৪

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় রফিকুলসহ অন্তত ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা নিয়ে আলোচনা চলছে।

মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে মতিঝিলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদে মিছিল থেকে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।

হামলার দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা নিয়ে আলোচনায় বসেছে পুলিশ। মতিঝিল জোনের এডিসি নূরুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেছেন, ‘পুলিশের ওপর হামলায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে।’

বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর নাইটিংগেল মোড় হয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে পৌঁছায়। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়ায় সংগঠনটির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।

পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় নেতাকর্মীরা। কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে রক্তাক্ত করা হয়। তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে গণমাধ্যমকর্মীরা। সেখান থেকেই রফিকুলসহ অন্তত ১০ জনকে আটক করে পুলিশ।

এই সংঘর্ষে দুইজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তারা হলেন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম ও ওয়াহিদুর রহমান। মতিঝিল থেকে জানানো হয়েছে, এসআই দুজন গুরুতর অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশের ওপর ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্মীদের ওপর হামলা। ছবি: সাইফুল ইসলাম

অন্যদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বলা হয়েছে পুলিশের হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আহ্বায়ক বিন আমীন মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মতিঝিলের ঘটনায় আমাদের পাঁচ-সাতজন গুরুতর আহত হয়েছে। সংগঠনের গাজীপুর শাখার মাজেদুল, ঢাকা মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সুবর্ণা, শরীয়তপুর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি নেহাল আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’

পুলিশের ওপর ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্মীদের হামলা। ছবি: সাইফুল ইসলাম

আমীন মোল্লা বলেন, ‘আমরা জিরো পয়েন্ট থেকে মিছিল শুরু করি। এরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে দিয়ে বিজয়নগর, নাইটিংগেল মোড় হয়ে যখন মতিঝিল পৌঁছাই তখন পুলিশ পেছন থেকে হামলা করে, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। তখন পুলিশের সঙ্গে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় অধা ঘণ্টা এই সংঘর্ষ চলে।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যোগ দিতে ঢাকা সফরে আসছেন প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। এরই মধ্যে ঢাকা সফর করে গেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ও নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। বর্তমানে সফরে রয়েছেন ডা. লোটে শেরিং।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরে আসার কথা ২৬ মার্চ। এবারের সফরে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঢাকার বাইরেও যাবেন মোদি। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর পরিদর্শন করবেন সেখানকার ওড়াকান্দি ও সাতক্ষীরায় দুটি মন্দির।

তার এ সফর ঠেকাতে বিক্ষোভ করছে ইসলামপন্থি কয়েকটি সংগঠন। একই দাবিতে নানা কর্মসূচি দিচ্ছে ছাত্র অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি বাম সংগঠনও। দুই পক্ষই ভারতীয় সরকারপ্রধানের সফর ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।

গত জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে কয়েক হাজার মুসল্লি। বিক্ষোভ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘যদি মোদিকে আসতে দেয়া হয়, তাহলে আমরা সবাই সন্ত্রাসে পরিণত হব। বাংলা হবে আফগান, আমরা হব তালেবান।’

এ বিভাগের আরো খবর