আদালতের আদেশের পরও হাজির না হওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ খান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন।
আদালত তাদের অব্যাহতি দিয়ে ওই মামলার শুনানির তারিখ ২৯ মার্চ নির্ধারণ করেছে।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। অপর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।
সাইফুদ্দিন খালেদ নিউজবাংলাকে বলেন, মৌখিক আদেশে হাজির না হওয়ায় তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আদালত তাদের ক্ষমা করে অব্যাহতি দিয়েছে।
আইনজীবী শিশির মনির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে সন্দ্বীপ থানার মামলায় গ্রেপ্তার হন শাফায়াত নামের এক ব্যক্তি। এ মামলায় তার জামিন চেয়ে গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে আবেদন করি।
‘জামিন আবেদনে বলেছি, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অপরাধে ডিজিটাল আইনে শাফায়াত নামে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি ওই শাফায়াত না। আমার নাম শাফায়াত উল্লাহ সাগর। আর ফেসবুকে যে আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, তার নাম শাফায়েত হোসেন আয়ান। এই স্ট্যাটাসের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৫ মার্চ আদালত বিষয়টি শনাক্তের জন্য সন্দ্বীপ থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ২২ মার্চ হাইকোর্টে হাজির হতে মৌখিকভাবে আদেশ দেয়।
আদেশের বিষয়টি আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে জানালে তারা লিখিত আদেশ ছাড়া হাজির হবেন না বলে জানান। এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে অবহিত করেন। আদালত আবার লিখিত আদেশ দিয়ে ২৫ মার্চ হাজিরের নির্দেশ দেয়।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এ নির্দেশে তারা হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এজাহার থেকে বিবরণে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় সন্দ্বীপ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল উদ্দিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় গত বছরের ৮ অক্টোবর শাফায়েত হোসেন আয়ানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সন্দ্বীপ থানা-পুলিশ।