ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে বুধবার বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং দেখা করতে গেলে তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন।
বিকেল চারটার দিকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বঙ্গভবনে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কৃষি, হর্টিকালচার ও মৎস্য খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এ সময় তিনি বলেন, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, যোগাযোগ, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে।
দুদেশ বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কৃষি, হর্টিকালচার ও মৎস্য খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি।
ভুটানকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে দেশটির অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সময়ের পরিক্রমায় নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
করোনা মহামারীর মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেয়ায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে সব সময় অগ্রাধিকার দেয় ভুটান।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, বিশেষ করে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ভুটানে এক হাজার প্রদীপ জ্বালানো ও স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ভুটানের স্মারক ডাকটিকিট রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হাতে তুলে দেন লোটে শেরিং।