বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্যাস সংকট: থাকতে পারে আরও এক দিন

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২১ ২০:১২

সড়ক সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে পাইপলাইন ছিদ্র হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই তীব্র গ্যাসের সংকট বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটেনি। বিতরণ সংস্থা তিতাস কর্তৃপক্ষ জানায়, পাইপলাইন মেরামতের কাজ এখনো চলছে। সন্ধ্যার পর তা শেষ হতে পারে। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বৃহস্পতিবার দুপুর গড়িয়ে যাবে।

ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র গ্যাস সংকট ও জনভোগান্তি দূর হতে বৃহস্পতিবার দুপুর গড়িয়ে যেতে পারে।

রাজধানীর গ্যাস সংকট নিয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সড়ক সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে পাইপলাইন ছিদ্র হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই তীব্র গ্যাসের সংকট বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটেনি।

বিতরণ সংস্থা তিতাস কর্তৃপক্ষ জানায়, পাইপলাইন মেরামতের কাজ এখনো চলছে। সন্ধ্যার পর তা শেষ হতে পারে। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বৃহস্পতিবার দুপুর গড়িয়ে যাবে।

গত মঙ্গলবার আমিন বাজারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক উন্নয়ন কাজের সময় তিতাস গ্যাসের উচ্চচাপের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ওই দিন সকাল থেকেই মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কলাবাগান, আদাবর, মিরপুর-১ ও গ্রিনরোডসহ বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বুধবারও এসব এলাকার অনেক জায়গায় গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।

কয়েকটি এলাকার বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছু কিছু জায়গায় গ্যাসের চাপ সামান্য বাড়লেও তা রান্না করার জন্য যথেষ্ট না। যে কারণে মঙ্গলবারের মতো বুধবারও তারা হোটেল থেকে খাবার কিনে খেয়েছেন। কেউ কেউ বৈদ্যুতিক চুলায় রান্নার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

দুপুরে এই প্রতিবেদকের কথা হয় মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ৫ নম্বর সড়কের বাসিন্দা পার্থ প্রতিম দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে চুলায় গ্যাস একেবারেই ছিল না। সারা দিন কেটেছে হোটেলের খাবার খেয়ে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে গ্যাসের চাপ সামান্য বেড়েছে। কিন্তু এই চাপে দুই কাপ চায়ের পানি গরম হতেই আধঘণ্টা লেগে গেছে।

মিরপুরের পীরেরবাগ এলাকার আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাতের দিকে একবার গ্যাস এসেছিল। সকাল থেকে আবার নেই। সকালে পাউরুটি আর কলা দিয়ে নাশতা সেরেছি। দুপুরে ঘণ্টা দেড়েক লাইনে দাঁড়িয়ে হোটেল থেকে খাবার কিনতে হয়েছে।’

আজহারুল ইসলাম জানান, পাশের মোল্লাপাড়াতেও এখন পর্যন্ত একই অবস্থা চলছে।

এদিকে কলাবাগান, পশ্চিম ধানমন্ডি ও গ্রিনরোডের কয়েকজন বাসিন্দাও গ্যাস সংকটের কারণে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।

তবে তিতাসের জনসংযোগ শাখার পরিচালক মির্জা মাহবুব হোসেন বলছেন, আমিনবাজারে একটা লাইন বন্ধ থাকলেও বিকল্প লাইনে বেশি গ্যাস সরবরাহ করে পরিস্থতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা।

নিউজবাংলাকে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমিনবাজারের যেখানে পাইপলাইন ছিদ্র হয়েছে, সেখানে সড়ক সংস্কারের জন্য উঠিয়ে রাখা মাটি ধসে পড়ায় মেরামত কাজে বেগ পেতে হচ্ছে। এ ছাড়া নিচ থেকে ক্রমাগত উঠতে থাকা পানিও মেরামত কাজে বাধা সৃষ্টি করছে।’

কয়টা নাগাদ পাইপলাইন মেরামতের কাজ শেষ হতে পারে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাইপলাইন মেরামতের কাজে আমরা আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি। আশা করছি আজ সন্ধ্যার পরপরই পুরো কাজ শেষ হবে। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর গড়িয়ে যেতে পারে।’

এ অবস্থায় গ্রাহকদের ভোগান্তির জন্য তিতাসের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর