বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্রাট-আরমানকে রিমান্ডে চায় সিআইডি

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২১ ১৫:৩৮

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিকের আদালতে এ রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ। রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৪ এপ্রিল দিন রাখেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিক।

অর্থ পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে তিনদিনের রিমান্ডে পেতে আবেদন করেছে তদন্তকারী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিকের আদালতে এ রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ। রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৪ এপ্রিল দিন রাখেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিক।

এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদনও আদালতে জমা দেয়ার জন্য তারিখ ছিল। কিন্তু প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদী মাকসুদ। প্রতিবেদনের জমার জন্য নতুন তারিখ রাখা হয়েছে আগামী ৯ মে।

সম্রাট-আরমানকে কেন আদালতে হাজির করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদী মাকসুদ নিউজবাংলাকে জানান, আসামি দুইজন অসুস্থ।

মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইসমাইল চৌধুরী রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় এসব অর্ধ পাচার করেন সম্রাট।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাই দুইবার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেছেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেন।

ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানী মতিঝিলের ক্লাব এলাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওঠে আসে তার ও সহযোগী আরমানের নাম।

এসব অভিযানের মধ্যে কিছুদিন আত্মগোপনে চলে যান সম্রাট-আরমান। তবে ওই বছরের ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। এরপর রাজধানীর কাকরাইলের একটি ভবনে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, মদ ও ক্যাঙারুর চামড়া, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে তাৎক্ষণিক ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠায়। রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলা। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে যুবলীগ এ নেতার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক।

এ বিভাগের আরো খবর