বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার চিরিরবন্দরে লোহার খনি!

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ২১:৪৮

২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামে উন্নতমানের লোহার আকরিক খনির কূপ খনন শুরু হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ড্রিল কার্যক্রমে পাওয়া লোহার খনির সম্ভাব্যতা নিশ্চিত, মজুত ও পরিধি যাচাইয়ে তৃতীয় পর্যায়ের ড্রিলিং শুরু করে জিএসবি।

এবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার কেশবপুরে লোহার একটি খনি আবিষ্কারের পথে।

ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) প্রাথমিকভাবে একটি জায়গাও চিহ্নিত করেছে সেখানে। প্রস্তুতি চলছে খননের।

কেশবপুরে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ড্রিলিং কার্যক্রম শুরু করবে অধিদপ্তর। এরই মধ্যে সেখানে শ্রমিক হিসেবে কর্মসংস্থান হয়েছে কেশবপুর গ্রামের ১৫ জনের।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামে উন্নতমানের লোহার আকরিক খনির কূপ খনন শুরু হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ড্রিল কার্যক্রমে পাওয়া লোহার খনির সম্ভাব্যতা নিশ্চিত, মজুত ও পরিধি যাচাইয়ে তৃতীয় পর্যায়ের ড্রিলিং শুরু করে জিএসবি।

এরই মধ্যে চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে নতুন লোহার খনির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ড্রিলিং কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন জিএসবির মহাপরিচালক (ডিজি, অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মহ. শের আলী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কেশবপুর গ্রামে জরিপে প্রাথমিকভাবে লোহার আকরিক থাকার উপস্থিতি পেয়েছে জিএসবি। সেখানে ড্রিলিং কার্যক্রমের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে স্থাপনা। লোহার আকরিক পাওয়ার সম্ভাব্য স্থান ঘিরে দেয়া হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। সেখানে কাজ করছেন ওই গ্রামের ১৫ জন কর্মহীন যুবক ও কৃষক। প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে চালানো হবে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান।

চলছে লোহার খনি আবিষ্কারের খনন কাজ। ছবি: নিউজবাংলা

কেশবপুর গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, কয়েক দিন আগে জিএসবির লোকজন এসে তাদের কাছ থেকে এই এলাকার কিছু জমি চার মাসের জন্য জন্য ভাড়া নিয়েছেন। এখানে বগুড়া থেকে বড় মেশিন এনে খনন করা হবে। খনি আবিষ্কৃত হলে এলাকার অনেকের কর্মসংস্থান হবে।

ওই গ্রামের কর্মহীন যুবক আবুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বাসায় বসে আছি। লোহার খনি আবিষ্কারের জন্য আমি এখানে কাজ করছি। প্রতিদিন আমরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পাচ্ছি।’

কৃষক মকবুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে যদি লোহার খনি পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের এই এলাকার ভাগ্য খুলে যাবে। জমির দাম বেড়ে যাবে। আমাদের ছেলেমেয়েদের কাজের সুযোগ হবে। তাই কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে যে ধরনের সাহায্য চায়, আমরা সব ধরনের সাহায্য করব।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, জিএসবির ডিজি এই কূপ খনন উদ্বোধন করবেন। এর আগে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলতে চান না।

পুনট্রি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নূর-এ-কামাল জানান, জিএসবির (ভূতত্ত্ব) পরিচালক মো. আবদুল আজিজ পাটোয়ারীর সই করা জেলা প্রশাসককে দেয়া একটি চিঠির অনুলিপি পেয়েছেন। চিঠিতে কেশবপুর এলাকায় কূপ খনন কার্যক্রমের জন্য অবস্থানকালে কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত এবং পথ দেখাতে সহযোগিতা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এই চিঠির অনুলিপি পুলিশ সুপার, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চিরিরবন্দর থানাকেও দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কূপ খননে দলপ্রধান হিসেবে রয়েছেন উপপরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপপরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নিহাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নাজমুল হোসেন খান, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মঞ্জুর আহমেদ এলাহী ও সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. রোকনুজ্জামান।

এ বিভাগের আরো খবর