বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোদির সফরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই: কাদের

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ১৫:৪৯

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন বা অন্য কোনো বিষয়ের যোগসূত্র নেই। তিনি আমন্ত্রিত অতিথি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজ সরকারি বাসভবনে মঙ্গলবার সকালে নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন বা অন্য কোনো বিষয়ের যোগসূত্র নেই। তিনি আমন্ত্রিত অতিথি।

এ সময় মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা তৈরিতে কাউকে উসকানি না দেয়ার আহবান জানান তিনি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই সফরে তিনি যেসব জায়গায় যাবেন, তার একটি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি। সেখানে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার।

তার এ সফরের মধ্যে ২৭ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে বিধানসভা নির্বাচন। কয়েক দফায় তা চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। মোদির দল বিজেপির জন্য পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূলকে হটিয়ে দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গের ভোটের রাজনীতির সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীর ওড়াকান্দির নাম। এ অঞ্চল থেকে ছড়িয়ে পড়া ‘মতুয়া’ নামে একটি হিন্দু সম্প্রদায় পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় ভোট ব্যাংক। তারা তৃণমূলে ভোট দিয়ে থাকে বলে মনে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই মাতুয়া ভোট ব্যাংককে কাছে টানতেই মোদির ওড়াকান্দি সফর।

নিজ ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আমন্ত্রণ বাতিল করার দাবি জানাচ্ছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান মিত্র দেশ ছিল ভারত। তাই বাংলাদেশ ভারতের সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানায়; কোনো ব্যক্তিবিশেষকে নয়।’

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘সরকারকে পরাজিত করতে বিএনপি সংগঠিত হতে শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব। রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হলে ভালো।

‘কিন্তু দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পরিবর্তে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য সহিংসতা উপাদান যুক্ত করা হয় তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে যেকোনো অপচেষ্টা মোকাবেলা করবে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী ও সুসংগঠিত।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রথম প্রশাসনে রাজনীতিকরণ শুরু করে আর শেখ হাসিনা সরকার প্রশাসনকে রাজনীতিমুক্ত করে এবং মেধার সন্নিবেশ ঘটায়। বর্তমান প্রশাসন অনেক দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন। প্রশাসন নয়, বিএনপিই আগাগোড়া ব্যর্থ।’

বিরোধী নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ নাকচ করে কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। উচ্চ ও নিম্ন আদালতে সরকারের কোনোরূপ হস্তক্ষেপ নেই।

‘এ জন্যই আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালত রায় দিয়েছে এবং অনেকে সাজা ভোগ করছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার বা আওয়ামী লীগ স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় বিশ্বাসী বলেই বিশ্বজিৎ, নুসরাত, আবরার ও বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে দলীয় কর্মীদের রক্ষা করতে যায়নি। আইনের প্রতি সম্মান আছে বলেই বিচারিক প্রক্রিয়াকে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করতে চায় না, বরং বিএনপিই দ্বিচারিতার আশ্রয় নেয় আইন আদালত ঘিরে। বিএনপি মামলায় জিতলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন আর হারলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।’

এ সময় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত এবং প্রাণহানির সংখ্যা নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদারের কোনো বিকল্প নেই।

‘লোকসমাগম, মার্কেট, স্টেশন, ফেরি ইত্যাদি এলাকায় অনেকেই মাস্ক পরিধান করছেন না। যে জীবনযাপনের জন্য আমরা ব্যস্ত, মাস্ক পরিধান না করার মতো অবহেলা আমাদের প্রিয় জীবন থেকে ছিটকে দিতে পারে। নিজের এবং পরিবার-পরিজন, সন্তানদের কথা ভেবে হলেও শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর