রাজধানীতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবার পিছিয়েছে।
ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন জমার জন্য নতুন তারিখ রেখেছেন আগামী ১১ এপ্রিল।
মঙ্গলবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক। এই নিয়ে প্রতিবেদন জমার তারিখ তৃতীয়বার পেছাল।
গত ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ওই তরুণীর মৃত্যুর পর তার বাবা চারজনকে নামীয় ও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
চারজন নামীয় আসামি তরুণীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, নুহাত আলম তাফসীর, সাফায়েত জামিল ও বান্ধবী ফারজানা জামান নেহা কারাগারে আছেন। এর মধ্যে মর্তুজা রায়হান চৌধুরী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
আদালত মামলাটির এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ রেখেছিল। এরপর প্রতিবেদন দেয়ার তারিখ তিন দফা পেছাল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান।
সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা ও এক সহপাঠী ছিলেন। তারা ওই তরুণীকে জোর করে অতিরিক্ত মদ পান করান।
এজাহারে আরও বলা হয়, মদ পানের একপর্যায়ে তরুণীটি অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও কক্ষে ছিল।
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসীম খানকে ফোন করেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৩১ জানুয়ারি ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
তবে নিহত ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা।