বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। শুভেচ্ছাবার্তায় বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন প্রত্যাশা করেন রানী।
সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় রানী এলিজাবেথ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে এই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে আপনাকে অভিনন্দন এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভকামনা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। আমাদের অংশীদারত্বের ভিত্তি রচিত পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও আবেগের উপর এবং সেটা ৫০ বছর আগে যেমন ছিল এখনও তাই। ’
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির প্রসঙ্গ টেনে ব্রিটেনের রানী তার শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, ‘আমি আশা করি, কঠিন একটি বছর পার করার পর আমরা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারব।’
আগামী ২৬ মার্চ শুক্রবার পূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর। স্বাধীনতার এই সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীও।
এই জোড়া উদযাপনে বাংলাদেশে চলছে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে ঢাকায় আছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি। মঙ্গলবার আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এবং ২৬ মার্চ আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা ভিডিওবার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশকে।
প্রায় ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসানে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ধর্মের ভিত্তিতে সেই ভাগাভাগিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বর্তমানের বাংলাদেশ পড়ে পাকিস্তানের অংশে। কিন্তু নতুন দেশের শুরু থেকেই ন্যায অধিকারের দাবিতে বাঙালিকে নামতে হয় নতুন সংগ্রামে। পরের দুই যুগে তা স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপ নেয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র মানুষের ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
এরপর ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসাধারণ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ পৌঁছাচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে। একই সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী।