বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২২ মার্চ, ২০২১ ১৭:৩৩

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকার অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার হাতে তিনি তুলে দেবেন গান্ধী শান্তি পুরস্কার। পুরস্কারে রয়েছে ১ কোটি টাকা, একটি উদ্ধৃতি, একটি স্মারক এবং ভারতের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প সামগ্রী।

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার জন্মশতবার্ষিকীতে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেছে ভারত সরকার।

১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার দিয়ে আসছে ভারত সরকার। অহিংস আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ও ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর স্মরণে প্রবর্তন করা হয় এই পুরস্কার।

সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, অহিংস উপায়ে রাজনৈতিক বিবর্তন ঘটানো এবং গান্ধীর অন্যান্য মতাদর্শ লালন করা ব্যক্তিত্ব বা প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফরের চার দিন আগে বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার খবর দিল নয়াদিল্লি।

ঢাকার অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেবেন গান্ধী শান্তি পুরস্কার। পুরস্কারে রয়েছে ১ কোটি টাকা, একটি উদ্ধৃতি, একটি স্মারক এবং ভারতের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প সামগ্রী।

এবার একসঙ্গে ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য পুরস্কারটি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯ মার্চ হয় জুরি সভা। তাতে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুকে ২০২০ সালের জন্য নির্বাচিত করা হয়। আর ২০১৯ সালের জন্য পুরস্কারটি দেয়া হয়েছে ওমানের প্রয়াত সুলতান কাবুস বিন সাঈদ আল সাঈদকে।

কাবুস আধুনিক আরব বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতা ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মৃত্যু হয় তার। কাবুসের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছিলেন মোদি।

এর আগে গান্ধী শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ওই বছর একসঙ্গে আগের চার বছরের জন্য দেয়া হয় পুরস্কারটি। এই পুরস্কারের নগদ অর্থমূল্য ১ কোটি টাকা। সঙ্গে দেয়া হয় একটি স্মারক ও মানপত্র।

ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, এই পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সভাপতি থাকেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে থাকেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ও লোকসভায় একক দল হিসেবে বিরোধী দলীয় পার্টির নেতা।

এবারের জুরিতে আরও দুইজন সদস্য ছিলেন। তারা হলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা ও সুলভ ইন্টারন্যাশনাল সোস্যাল সার্ভিস অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী বিন্দেশ্বর পাঠক।

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে টুইট করেন নরেন্দ্র মোদি। এতে লিখেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও স্বাধীনতার চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। ভারতীয়দের কাছেও তিনি নায়ক। বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার ও অনুপ্রেরণা উভয় দেশের ঐতিহ্যকে আরও ব্যাপক ও গভীর করে তুলেছে এবং বঙ্গবন্ধু যে পথ দেখিয়েছিলেন তা গত দশকে উভয় দেশের অংশীদারিত্ব, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির এক দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছে।’

অতীতে এ পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছে ডা. জুলিয়াস নাইয়ের, তানজানিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. জেরহার্ড ফিশার, ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের জার্মানি, রামকৃষ্ণ মিশন, বাবা আমতে (শ্রী মুরলিধর দেবীদাস আমতে), দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বর্ণবিরোধী প্রয়াত নেতা ড. নেলসন ম্যান্ডেলা, গ্রামীণ ব্যাংক অফ বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, শ্রী চণ্ডী প্রসাদ ভট্ট ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

সাম্প্রতিক পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে আছে বিবেকানন্দ কেন্দ্র, ভারত (২০১৫); অক্ষয় পত্র ফাউন্ডেশন, ভারত এবং সুলভ আন্তর্জাতিক (যৌথভাবে, ২০১৬ সালের জন্য), একাল অভিযান ট্রাস্ট, ভারত (২০১৭) এবং শ্রী ইয়োহেই সাসাকাওয়া, জাপান (২০১৮)।

এ বিভাগের আরো খবর