বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পি কে হালদারের সহযোগী শুভ্রা বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২১ ১৬:১১

দুদকের পরিচালক জানান, শুভ্রা রানী ঘোষ দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়।

বিদেশে পলাতক আলোচিত-সমালোচিত ব্যাংকার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে দুর্নীতিতে সহযোগিতার মাধ্যমে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়াকামা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শুভ্রা রানী ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘শুভ্রা রানী ঘোষ দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তারের পর তাকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়।

এর আগে, রোববার ওয়াকামা ইন্টারন্যাশনাল নামে ‘কাগুজে প্রতিষ্ঠানের’ পরিচালকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলায় পি কে হালদারের সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ঋণের নামে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে শুভ্রার বিরুদ্ধে।

এর আগে ২ মার্চ পি কে হালদারসহ তার ঘনিষ্ঠ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ১০ মামলার অনুমোদন দেয় দুদকের কমিশন। এ ছাড়া ৪২ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দেয় দুদক।

এর আগে, পি কে হালদারের বেশ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। তাদের ব্যাংক হিসাবে থাকা দেড় হাজার কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি ঢাকার উত্তরা, দিয়াবাড়ী, নারায়ণগঞ্জের ভুলতা, নরসিংদীতে ৭১ একর জমি খুঁজে পেয়ে সেগুলোও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি ১০ তলা ভবনও এখন হেফাজতে নিয়েছে সরকার।

তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ থাকা ব্যাংকার পি কে হালদার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে প্রথমে ভারত যান। পরে তিনি কানাডায় চলে যান।

আলোচিত-সমালোচিত এই ব্যাংকার যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সে জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন চিঠি পাঠায় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু তিনি যে সড়ক পথে যশোর হয়ে দেশ ছাড়েন, সেটি পরে জানতে পারে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

আদালতের নির্দেশে গত ১ মার্চ ইমিগ্রেশন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে এসব তথ্য জানিয়েছে।

তার আগেই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে এ তথ্য জানায়।

পি কে হালদার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। পরে এই দুই পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক নিউজবাংলাকে বলেন, প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে পি কে হালদার দেশ ত্যাগ করেছেন তা জানতে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ‘ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর চিঠি পাওয়ার পর তারা অফিশিয়াল কাজ শেষ করে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে দেশের সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দরে তার কপি পাঠিয়ে দেয়, যাতে পি কে হালদার দেশ ত্যাগ করতে না পারেন।’

আদেশে বলা হয়, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকা দাখিল করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানাতে বলা হয় আদেশে।

এ আদেশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর একটি দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে পরদিনই তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেপ্তার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ১৫ ফেব্রুয়ারি এ আদেশ দেয়।

এর আগে ননব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। এরপরই বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

পি কে হালদার গত বছরের শেষ দিকে দেশে আসতে চেয়েছিলেন। টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করতে দেশে আসলে যেন তাকে গ্রেপ্তার করা না হয়, সে জন্য হাইকোর্টে আবেদনও করেন তিনি। পরে দেশে আসামাত্র তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেয় উচ্চ আদালত। পরে তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আর আসেননি।

এ বিভাগের আরো খবর