এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজারের মতো মানুষ পবিত্র হজব্রত পালন করতে সৌদি আরব যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
মন্ত্রণালয়ে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
‘হজ নিয়ে এখনও সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়নি। কতজন নিবে এ নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করার চেষ্টা করছি।’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার কমসংখ্যক মানুষ হজ করার সুযোগ পাবেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সীমিত পরিসরে লোকজন যেতে পারে। ১০ হাজার জনের মতো যেতে পারে। এর বেশিও হতে পারে।’
এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে ষাটোর্ধ্ব কোনো ব্যক্তি হজের সুযোগ পাচ্ছেন না। বিষয়টি প্রতিমন্ত্রীর নজরে আনা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। তবে সৌদি সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়নি। যদি তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকে সেটা মেনেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, গত বছর হজের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ। তবে তাদের মধ্যে অনেকে নিবন্ধনের অর্থ তুলে নেয়ায় এই মুহূর্তে নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ৬১ হাজার ২৩১ জন।
এদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব হজ গমনেচ্ছুর সংখ্যা ২১ হাজার। আর ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের সংখ্যা ৪০ হাজার।
কতসংখ্যক হজযাত্রী এবার যেতে পারবেন, সেটা সৌদি সরকার নিশ্চিত করার পর পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
হজযাত্রীদের করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যেতে হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি নিবন্ধিত সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ধর্মসচিব নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার যারা হজে যেতে পারবেন না, তারা চাইলে তাদের নিবন্ধনের অর্থ ফেরত নিতে পারবে। আর না নিলে আগামী বছর তারা অগ্রাধিকার পাবে।’