বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদমজী কোর্ট ভবনে আগুন, নেভাতে গিয়ে আহত ১

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২১ ১৪:২০

ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিট। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী।

রাজধানীর মতিঝিলে আদমজী কোর্ট ভবনে আগুন লেগেছে। এ আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন মো. রাব্বি নামে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।

সোমবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার খবর পায় বলে জানান ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘সাড়ে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন কীভাবে লেগেছে সেটা আমরা এখনো জানতে পারি নাই। আগুন নেভানো শেষে তদন্ত করে জানা যাবে কীভাবে আগুন লেগেছে।

‘আমরা ১টা ৩৫ মিনিটে আগুনের সংবাদ পেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে একটা টহল ইউনিট ছিল। তারা ১টা ৪০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে শুরু করে। এর পরে একে একে মোট ১৩টি ইউনিট এসে কাজ করে।’

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতা নিয়ে ডিজি বলেন, ‘আমাদের এক শর উপরে মানুষ কাজ করছে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। সাত তলায় গোডাউন আছে।

‘সেখানে কাগজ ও অন্যান্য জিনিসপত্র আছে। কাগজসহ অন্যান্য জিনিস আছে বলে আগুন নির্বাপনে একটু সময় লাগবে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে। ভয়ের কোনো কারণ নাই।’

নেভানো শেষে তদন্ত

আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে কি না, সে সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুন নেভানো শেষে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তখন জানা যাবে কীভাবে আগুন লাগে। আমি জানি এই ভবন বিজেএমসির (বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন)। গোডাউনটা কাদের ছিল সেটা বিজেএমসি বলতে পারবে।’

আগুনে কোনো মৃত্যু হয়নি জানিয়ে সাজ্জাদ বলেন, ‘এখন অবধি হতাহতের কোনো ঘটনার খবর পাই নাই। আগুন নেভানো শেষে আমরা ভবন সার্চ করব। তখন জানা যাবে কেউ নিহত হয়েছে কি না বা আটকে আছে কি না।

‘আমি বিজেএমসির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছেন সবাই বের হয়ে চলে গেছেন।’

‘পানির সংকট ছিল না’

আগুন নেভাতে গিয়ে পানির সংকট ছিল কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘ঢাকাতে সবসময়ই পানির সংকট থাকে। তবে এখানে তেমন পানির সংকট ছিল না। আমাদের স্পেশাল পানিবাহী যেগুলো গাড়ি ছিল, সবগুলো আনা হয়েছে।

‘আশপাশের ভবনেও পানির ব্যবস্থা ছিল; সেগুলোও এনেছি। মোটামুটি পানির সরবরাহ সন্তোষজনক ছিল।’

এই ভবনে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ছিল। তবে কী অবস্থায় ছিল সেটা তদন্ত করে জানা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর