ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় বিচার কাজ শুরু করেছে আদালত।
রাজধানীর গুলশান থানার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ও মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
রোববার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামিপক্ষের আইনজীবী এম নুরুল ইসলামের করা অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১ জুন তারিখ দেন তিনি।
এই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ওই দুই মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আগে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে খালেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চান খালেদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায়। ওই বাসা থেকে ছয়টি দেশের মুদ্রা জব্দ করে র্যাব।
এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের ১০ হাজার ৫০ ডলার, থাইল্যান্ডের ১০ হাজার ৪৯০ বাথ, ভারতীয় সাড়ে তিন হাজার রুপি, সৌদি আরবের দুই হাজার ৩২১ রিয়াল, মালয়েশিয়ান ৬৫৬ রিঙ্গিত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ দিরহাম জব্দ করে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। পরে তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সেই অভিযানে গুলশানে তার বাড়ি থেকে একটি শটগান, দুটি পিস্তল, শটগানের ৫৭টি গুলি ও ৫৮৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে র্যাব।
পরে তার নামে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনে আরেকটি মামলাসহ মোট চারটি মামলা করা হয়।
যার মধ্যে অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা রাখা ও মাদক মামলায় তার বিচার শুরু হলো।