বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাধীনতার মিথ্যা ঘোষকের ঠিকানাই থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২১ ১৪:৩২

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল আজকে আর সে নাম মুছতে পারবে না। যেখানে মিথ্যা ঘোষক হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল আজকে আন্তর্জাতিকভাবেও আপনারা দেখেন সেই ঘোষককে, তার আর ঠিকানা থাকবে না।’

স্বাধীনতার মিথ্যা ঘোষকের কোনো ঠিকানাই থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল আজকে আর সে নাম মুছতে পারবে না। যেখানে মিথ্যা ঘোষক হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল আজকে আন্তর্জাতিকভাবেও আপনারা দেখেন সেই ঘোষককে, তার আর ঠিকানা থাকবে না।

‘কারণ আজকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তারাই কিন্তু আজ এটা নিজেরাই প্রচার করছেন যে ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার নাম ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো যে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন অথচ সেই স্বাধীন দেশেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। শুধু হত্যাই নয়, এর পর ইতিহাস থেকে তার নামটাও মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা।

‘এরআগে স্বাধীনতার ঘোষক দাঁড় করানো হলো। স্বাধীনতার ইতিহাস পাল্টে দেয়া হলো। এই বাংলাদেশে এমন একটা সময় ছিল, যে তার (বঙ্গবন্ধুর) নামটা পর্যন্ত নেয়া যাবে না। তার নামটা নেয়াও নিষিদ্ধ ছিল। বঙ্গবন্ধুর সেই সাত মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, যে ভাষণ এদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল সে ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘এই যে এতবড় বিশাল একটা অবদান, যে অবদানের মধ্যে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা। কিন্তু সেই স্বাধীন বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল তারা নিজেরা যে বলবে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি।

‘এ কথা বলার মতো সাহস কারও ছিল না। তারা সাহসটা হারিয়ে ফেলেছিল। বললেই নির্যাতনের স্বীকার হতে হতো। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের চাটুকারিতা যারা করতে পারত শুধু তারাই সবকিছু বলতে পারত। সত্যকে সত্য বলা, সত্য ইতিহাস তুলে ধরা নিষিদ্ধ ছিল।’

বঙ্গবন্ধুকে যে তার হাতে গড়া বাংলাদেশে হত্যা করা হবে তা কখনও চিন্তাও করেননি বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা। বলেন, ‘১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে, যে তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তাকে হত্যা করল। একই সঙ্গে আমার মা, ছোট তিনভাই, কামাল জামালের নবপরিণীতা বধূ, আমার চাচাসহ আমাদের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য।

‘এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর মিলিটারি সেক্রেটারিসহ সকলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এইভাবে যে তাদের হত্যা করা হলো এটা কখনও কল্পনাও করতে পারিনি, বিশ্বাসও করতে পারিনি। কারণ ছিল, বাংলাদেশের মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বেঁচে আছি, মাত্র দু বোন। কিন্তু এটা আমাদের দায়িত্ব যে আমরা যতটুকু জানি, সেটা দেশের মানুষকে জানাতে হবে। তার ছেলেবেলা সম্পর্কে, তার জীবণ সম্পর্কে, তার আন্দোলন সম্পর্কে যতুটুকু আমাদের স্মৃতিতে আছে আমরা তা তুলে ধরছি। এজন্যই তুলে ধরছি যে এগুলো দেশের মানুষে জানা উচিত।’

১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি

জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি পালন করব। এই সময়টাকে আমাদের এমনভাবে উদযাপন করতে হবে যেন এর শুভফলটা এদেশের সাধারণ মানুষও পায়।’

বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় দেশের মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের কৃতজ্ঞতাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে জাতির পিতার জন্মদিন আমরা পালন করছি। আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সব নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

তৃণমুলেও কর্মসূচি পালন করতে সব সহযোগী সংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমাদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আমরা অব্যাহত রাখব। জাতীয় কর্মসূচি আমরা নিয়েছি।

‘এরপর থেকে প্রত্যেক সহযোগী সংগঠন তার নিজস্ব কর্মসূচি নিতে হবে এবং সে কর্মসূচি শুধু ঢাকা শহর না একেবারে তৃণমুল পর্যন্ত। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে প্রতিটি সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে। সেখানে যেমন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতাসহ দরিদ্রদের মাঝে সাহায্য করা।’

এ বিভাগের আরো খবর