ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতার নামে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উসকে দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আমু বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের বিরোধিতার নামে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উসকে দিচ্ছে পাকিস্তানের দালাল ও আইএসের এজেন্টরা।’
‘বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভারতের অবদান কোনো দিন ভোলার নয়। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের বিরোধিতা করা অনভিপ্রেত।’
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মাঠে নামিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। এই অপশক্তিকে কঠোরভাবে দমনের লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ ও দেশপ্রেম সঠিকভাবে জাতীয় জীবনে প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: পিটিআই
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজাকারদের বিকৃত চিন্তাধারা চিরতরে বর্জন ও ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যোগ দিতে ঢাকা সফরে আসছেন প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। এরই মধ্যে সফর করে গেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সলিহ। দুই দিনের সফরে ঢাকায় রয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
মোদির সফরে আসার কথা ২৬ মার্চ। এবারের সফরে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঢাকার বাইরেও যাবেন মোদি। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর পরিদর্শন করবেন সেখানকার ওড়াকান্দি ও সাতক্ষীরায় দুটি মন্দির।
এদিকে মোদির এই সফর ঠেকাতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে কয়েকটি ইসলামপন্থি এবং বাম সংগঠন। তারা মোদির সফর ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।