প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারকে সই হওয়ার কথা রয়েছে।রাজপাকসে শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এরপর একান্ত বৈঠকে মিলিত হন দুই দেশের সরকারপ্রধান।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দুই দিনের ঢাকা সফরে আসেন শ্রীলঙ্কার সরকারপ্রধান।
তার এ সফরে সঙ্গী হয়েছেন শ্রীলঙ্কার শিক্ষামন্ত্রী, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী, তাঁত ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী, গ্রামীণ গৃহায়ণ ও গৃহনির্মাণসামগ্রী শিল্প প্রতিমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ২৮ জন।সফরের প্রথম দিন শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী।
এরপর সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের সম্মানে নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরের শেষ দিন শনিবার সকাল ১০টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বর্তমান সরকারের মেয়াদে আরও সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত হয়।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক ও সহযোগিতার আরও ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে আশা করছে বিভিন্ন মহল।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মোট ১০ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এই ১০ দিনের মধ্যে ১৭, ২২ ও ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭, ১৯, ২২, ২৪ ও ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থাকবেন।
২২ মার্চ নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা স্বশরীরে উপস্থিত না থাকলেও এ উদযাপন উপলক্ষে ভিডিও বক্তব্য দেন।
দুই দিনের ঢাকা সফরে এসে ১৭ মার্চ উদ্বোধনী আয়োজনে যোগ দিয়েছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।