বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালে ভর্তি ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২১ ০১:৪০

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসমাইল সাদী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে বিছানা থেকে উঠতে গিয়ে পড়ে যান আহমদ রফিক। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে। তার উরুসন্ধির হাড়ও ভেঙে গেছে।’

নিজ বাসায় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ভাষাসংগ্রামী, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্র গবেষক আহমদ রফিক। ৯২ বছর বয়সী লেখককে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহমদ রফিকের অনুরাগী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসমাইল সাদী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে বিছানা থেকে উঠতে গিয়ে পড়ে যান আহমদ রফিক। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে। তার উরুসন্ধির হাড়ও ভেঙে গেছে। এ জন্য অস্ত্রোপচার লাগতে পারে। শনিবার সকালে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

সাদী জানান, ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে প্রায় প্রতিদিন আহমদ রফিককে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলতে হয়েছে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৫ ফেব্রুয়ারির পর অসুস্থতা আরও বাড়ে। কোমরে ব্যথার কারণে উঠতে-বসতেও সমস্যা হচ্ছিল। এ ছাড়া চোখে ঠিকমতো দেখতে না পাওয়ায় ওষুধের ব্যবহারও মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তিনি কাউকে চিনতে পারছিলেন না।

ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আহমদ রফিক ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। ভাষা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ তার চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। নির্ধারিত সময়ের এক বছর পর পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেলেও ইন্টার্ন করার কোনো সুযোগ তিনি পাননি। এ কারণে চিকিৎসার বদলে লেখালেখিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি।

সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৫ সালে একুশে পদক পান আহমদ রফিক। ২০০১ সালে বাংলা একাডেমির ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ এবং ১৯৭৯ সালে ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ১৯৯৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে ‘রবীন্দ্রত্ত্বাচার্য’ উপাধি পান।

ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের স্ত্রী-সন্তান নেই। স্বজনদের মধ্যে ভাইয়েরা সবাই মারা গেছেন। একজন ভাগনে থাকলেও তিনি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

এ বিভাগের আরো খবর