ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষ বেশি সুখী। এমনকি বাংলাদেশের লোকেরা বেশি সুখী শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের লোকেদের চেয়ে।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট, ২০২১-এর প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে। শুক্রবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৪৯টি দেশের ওপর পরিচালিত জরিপ থেকে তৈরি করা সুখের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৮ নম্বরে। ভারত এ তালিকায় আছে ৯২ নম্বরে। শুধু ২০২০ সালের তথ্য ব্যবহার করে এ তালিকাটি করা হয়েছে।
তবে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা অপর তালিকা অনুযায়ী, সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০১ এবং ভারতের অবস্থান ১৩৯। এ তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান ১০৫ নম্বরে এবং শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১২৯।
গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের করা জরিপের তথ্য ব্যবহার করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এ তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ফিনল্যান্ড। তালিকায় সবার তলায় স্থান পেয়েছে আফগানিস্তান।
গত বছর (২০২০) ১৫৬ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৭। এছাড়া ২০১৭ সালে ১৫৫টি দেশের ওপর করা জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১০।
গ্যালাপ জরিপে তিনটি নির্দেশকের ব্যাপারে মতপ্রদানকারীদের মতামত নেয়া হয়। এ তিনটি নির্দেশক হলো: জীবন বিষয়ে মূল্যায়ন, ইতিবাচক আবেগ ও নেতিবাচক আবেগ।
জীবন বিষয়ক নির্দেশকের ক্ষেত্রে মত প্রদানকারীদের বলা হয়, শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত একটি মইয়ে তাদের জীবনের অবস্থান চিহ্নিত করতে। এখানে মইয়ের সবচেয়ে নিচের ধাপটি সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীবন আর সবচেয়ে উপরের ধাপটি উৎকৃষ্টতম জীবন।
ইতিবাচক আবেগের ক্ষেত্রে শুন্য থেকে ১০ পর্যন্ত সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করতে বলা হয় ‘সুখ’, ‘হাসি’ ও ‘উপভোগের’ অনুভূতি। নেতিবাচক আবেগের ক্ষেত্রে ‘উদ্বেগ’, ‘বিষাদ’ ও ‘ক্রোধ’ – এই তিন আবেগের অবস্থান চিহ্নিত করতে বলা হয়।
জরিপে পাওয়া এইসব নির্দেশক সংক্রান্ত তথ্য ছাড়াও সূচক তৈরিতে দেশগুলোর মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন, স্বাস্থ্যকর আয়ু, সামাজিক সুরক্ষা, জীবনে পছন্দ-অপছন্দের স্বাধীনতা, দুর্নীতির ধারণা– ইত্যাদির তথ্যও ব্যবহার করা হয়।