বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউএনএইচসিআরে বাংলাদেশকে ভোট দেবে শ্রীলঙ্কা

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২১ ২১:৫২

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে বললাম, রোহিঙ্গা বিষয়ে তাদের কাছে একটা কিছু আশা করি। তারা যেহেতু আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ।’

জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) সদস্য পদে বাংলাদেশকে ভোট দেবে শ্রীলঙ্কা।

শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ সফররত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপাকসের সঙ্গে একটি হোটেল দেখা করে ভোট চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কথা হলো। উনার সঙ্গে আগেও আমার আলাপ ছিল। আমি আগেও ওনার দেশে গিয়েছি। ইমপোর্টেন্ট ইস্যুতে আমি গিয়েছিলাম। এলটিটি নিয়ে। আমি সেটা ওনাকে বললাম। আমি ওনাকে বললাম, আমাদের কিছু ইলেকশন আছে। হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে আমরা সদস্য। আগামীতেও আমরা সদস্য হতে চাই। উনি বললেন, নিশ্চয় ওনারা আমাদের ভোট দেবেন।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলিক অফিসের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদে ২০২৩ সালের জন্য এবং মানবাধিকার কাউন্সিলে ২০২৩-২৫ সালের জন্য বাংলাদেশী প্রার্থীর পক্ষে শ্রীলঙ্কার সমর্থন কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ বিষয়ে শ্রীলঙ্কার জোরালো সমর্থন আছে বলে মাহিন্দা রাজাপাকসে উল্লেখ করেন।

এ সময় মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার সক্রিয় সহযোগিতা চান মোমেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের পাশে থাকবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে বললাম, রোহিঙ্গা বিষয়ে তাদের কাছে একটা কিছু আশা করি। তারা যেহেতু আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ।

‘তিনি বললেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি আমাদের পাশে থাকবেন। মিয়ানমার তাদেরও বন্ধু রাষ্ট্র। মিয়ানমার আমাদেরও প্রতিবেশি রাষ্ট্র। চার বছর হয়ে গেল। একটা রোহিঙ্গাও ফিরে যায়নি। আমি উনাকে বলেছি, আপনারা এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেন। উনি বলেছেন, নিশ্চয়। কোনো সমস্যা নাই। উনি কথা বলবেন।’

এর আগে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্বাক্ষরিত কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের জন্য ড. মোমেন রাজাপাকসেকে অনুরোধ করেন। সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে বলে এ সময় জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, উপকূলীয় নৌ-পথ চালু, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি, বাংলাদেশি ওষুধ সামগ্রী শ্রীলঙ্কায় রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় স্থান পায়।

এ সময় বাংলাদেশে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো শ্রীলঙ্কার স্থায়ী দূতাবাস নির্মাণের অনুরোধ জানানো হয়।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন রাজাপাকসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে কারোনার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় বাংলাদেশ সফর করায় রাজাপাকসেকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফর করার ঘটনা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে বলে উল্লেখ করেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী জানান, মুসলিম মহিলাদের জন্য সে দেশে রোরখা পরা নিষিদ্ধ করা হয়নি। রোরখা নিষিদ্ধের জন্য কিছু মহলের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হলেও সরকার তা গ্রহণ করেনি।

তাছাড়া শ্রীলঙ্কায় মুসলিমদের দাহ করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে অপপ্রচারণা রয়েছে উল্লেখ করে মাহিন্দা রাজাপাকসে জানান, মুসলিম রীতি অনুসারেই তাদের সমাহিত করা হচ্ছে।

সাক্ষাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ১০ দিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে ঢাকায় এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। দুদিন সফর শেষে শনিবার সন্ধ্যায় রাজাপাকসে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর