বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোদির সফর: প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর বিক্ষোভ

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২১ ২০:১২

বিক্ষোভ সমাবেশ রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভাস্কর্যের পাদদেশে আগে থেকেই ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়ায় সমাবেশস্থল পরিবর্তন করে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো।

বিক্ষোভ সমাবেশ রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভাস্কর্যের পাদদেশে আগে থেকেই ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়ায় সমাবেশস্থল পরিবর্তন করে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো। বিক্ষোভ মিছিল শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে তারা।

সমাবেশে বক্তারা মোদির আগমনের বিরোধিতা করেন। বক্তব্যে বাম নেতারা নরেন্দ্র মোদিকে সাম্রাজ্যবাদী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

শুক্রবার বেলা ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশের কথা থাকলেও ছাত্রলীগের অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এক ঘণ্টা পিছিয়ে বিকেল ৪টায় টিএসসি ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি টিএসসি থেকে ভিসিচত্বর, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, শাহবাগ, মৎস্য ভবন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা মোদি সরকার এবং বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের সমলোচনা করেন। সুবর্ণজয়ন্তীতে সরকারের নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণের প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে তামিলদের নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণেরও প্রতিবাদ জানান।

ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা, তিস্তার ন্যায্য হিস্যা না দেয়া, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতীয় নাগরিকদের নির্যাতন করার জন্য মোদির সমালোচনা করেন বক্তারা।

ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এমন একজনকে নিয়ে আসতে যাচ্ছে সরকার, যার হাতে অসংখ্য মানুষের রক্ত লেগে আছে। নরেন্দ্র মোদিকে আসতে দেয়া হবে না। আমরা রাজপথে থেকে প্রতিহত করব।

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, শেখ হাসিনার ২০ কোটি মানুষের দরকার নেই, তার মোদিকে দরকার। আমাদের কৃষিকে মেরে, নদীকে মেরে বন্ধুত্ব হতে পারে না।

মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে মোদিবিরোধী সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ৯টি ছাত্রসংগঠন। তবে একই দিন বিকেলে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক সমাবেশ থেকে বাম সংগঠনগুলোর মোদিবিরোধী সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাশ।

বৃহস্পতিবার রাতেই ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুবর্ণজয়ন্তী এবং জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার বেলা ২টায় রাজু ভাস্কর্যে আনন্দ মিছিল করবে ছাত্রলীগ ৷ এরই লক্ষ্যে দুপুর দেড়টা থেকে রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হয় ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

ফলে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর বেলা ৩টা থেকে রাজু ভাস্কর্যে মোদিবিরোধী বিক্ষোভ অনিশ্চিতে পড়ে যায়।

তবে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সমন্বয়ক আল কাদেরী জয় নিউজবাংলাকে বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের পূর্বঘোষিত প্রোগ্রাম বানচাল করার জন্য রাজুতে জড়ো হয়েছে৷ তারা সেখানে জড়ো হয়ে আমাদের সাথে সংঘর্ষের একটা পরোক্ষ হুমকি দিচ্ছে৷ আমরা এসব ভয় পাই না। আমরা যেকোনো মূল্যে আমাদের বার্তা সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের মোদিবিরোধী বিক্ষোভ পালন করব।

পরবর্তীতে রাজু ভাস্কর্যে কর্মসূচি পালন করতে না পারলেও টিএসসি থেকে মিছিল শুরু হয়ে ভিসিচত্বর, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, শাহবাগ, মৎস্য ভবন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেই মোদিবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর