বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজতের মামুনুলের আবার সুনামগঞ্জ সফরের আয়োজন

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২১ ১৮:১০

উপজেলা সদরের হেলিপ্যাড মাঠে ইসলামি সম্মেলনকে ঘিরে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে না জানিয়ে তাদেরকে অতিথি করার কথা বলা হচ্ছে। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এই আয়োজন ঘিরে বিশৃঙ্খলা হতে পারে আশঙ্কা করে অনুমতি না দেয়ার অনুরোধ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

মামুনুল হকের সফরের পর হিন্দু গ্রামে হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার হেফাজত নেতার সুনামগঞ্জ সফরের আয়োজন করা হচ্ছে। এবার তিনি যাচ্ছেন আরেক উপজেলা জামালগঞ্জে।

উপজেলার খাদিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসায় আগামী রোববার ‌‘খতমে বুখারি ও ইসলামি মহাসম্মেলনে’ মামুনুলকে অতিথি করে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। পোস্টারিং করা হয়েছে দেয়ালে দেয়ালে।

যদিও উপজেলা প্রশাসন বলছে তারা এখনও এই আয়োজনের অনুমতি দেয়নি। আর স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ এই সমাবেশ ঘিরে অস্থিরতার আশঙ্কা করে অনুমতি না দেয়ার অনুরোধ করেছেন প্রশাসনকে।

তার আশঙ্কা মামুনুল হক জামালগঞ্জে এলে এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

তবে হেফাজত নেতারা প্রচারপত্রে তাকে অতিথি করার কথা জানাচ্ছেন।

প্রচারপত্রে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতার নাম আছে, যদিও তারা বলছেন এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই তাদের।

উপজেলা সদরের হেলিপ্যাড মাঠের এই আয়োজনে যারা উপস্থিত থাকবেন বলে প্রচার চালানো হচ্ছে, তাদের মধ্যে আছেন জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল মুকিত চৌধুরী, জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার (সাজিব), জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম (সুহেল) এবং জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের এই জলসায় অতিথি করা হয়েছে মামুনুল হককে। ছবি: নিউজবাংলা

অনুমতি না নিয়ে হেফাজতের সমাবেশের পোস্টারে নাম ব্যবহারের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় জিডি করেছেন মোহাম্মদ আলী।

জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আয়োজক কমিটির লোকজনের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে।

গত সোমবার মামুনুল জেলার আরেক উপজেলা শাল্লা লাগোয়া দিরাইয়ে ইসলামি জলসায় বক্তব্য দিয়ে আসেন। তার সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে দুদিন পর একটি হিন্দু গ্রামে ৮০টিরও বেশি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়।

জামালগঞ্জের আয়োজন নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে কোনো কথা না বলেই আমাকে এই আয়োজনে অতিথি করা হয়েছে। বিষয়টি আমি আয়োজক ও প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘শাল্লায় যে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে এ নিয়ে সকলেই ক্ষুব্ধ। ফলে এই মুহূর্তে মামুনুল হকের এখানে না আসাই উচিত। কারণ আমাদের এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। তিনি (মামুনুল হক) আসলে এবং কোনো আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিতে পারে। এতে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘মামনুল হকের আসার ব্যাপারে আমরা এখনও তেমন কিছু জানি না। আমাদের কাছ থেকে সমাবেশের কোনো অনুমতিও নেয়া হয়নি।’

অনুমতি দেবেন কি না-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনুমতির আবেদন করা হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’ইসলামি সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য ও খাদিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা কাওছার আহমদ বলেন, ‘আমাদের অনুষ্ঠানটি শাল্লার ঘটনার অনেক আগেই নির্ধারিত। ফলে এটি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।’

না জানিয়ে অনেককে অতিথি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেককেই দাওয়াত দেয়ার পর নাম দিয়েছি। তবে ইউএনও অফিসে বৈঠকের পর তাদের বলেছি পরের প্রচার-প্রচারণায় আর তাদের নাম ব্যবহার করব না।’

এ বিভাগের আরো খবর