বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যায় ৫ আসামির ফাঁসি বহাল

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২১ ২২:৪৩

মামলায় বলা হয়, বিগত বিএনপি সরকার আমলে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামের বলখেলা বাজারের পাশে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন যুবলীগ নেতা জালালকে।

গাজীপুরের কাপাসিয়া থানা যুবলীগ নেতা জালালুদ্দিন সরকার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ আসামির মধ্যে পাঁচজনের দণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। মামলায় অপর পাঁচজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়ে বৃহস্পতিবার এ রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

প্রায় দেড় যুগ আগের এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি সাহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা পাঁচ আসামি হলেন- কাপাসিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবদুল আলীম, যুবদলকর্মী জজ মিয়া, ছাত্রদলকর্মী বেলায়েত হোসেন, ফারুক হোসেন ও আল আমিন।

সাজা কমে যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তারা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হালিম ফকির, যুবদলকর্মী মাহবুবুর রহমান ও আতাউর রহমান, ছাত্রদলকর্মী ফরহাদ হোসেন ও কাপাসিয়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জুয়েল। মামলায় খালাস পেয়েছেন যুবদলকর্মী জয়নাল আবেদিন।

মামলার ১১ আসামির মধ্যে ছয়জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন জজ মিয়া, আল আমিন, হালিম ফকির ও মাহবুবুর রহমান।

মামলায় বলা হয়, বিগত বিএনপি সরকার আমলে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামের বলখেলা বাজারের পাশে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন যুবলীগ নেতা জালালকে। পরদিন জালালের ভাই মিলন সরকার বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় ২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ১১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা কাপাসিয়া থানার ওসি এ কে এম আব্দুল লতিফ।

দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত কাপাসিয়া বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেয়। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

এ রায়ের পর আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। সেই আবেদন এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে।

আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান, সারোয়ার আহমেদ ও আব্দুল বারেক চৌধুরী; ছিলেন রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী হাফিজুর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস, সৈয়দা শবনম মোস্তারী ও তরিকুল ইসলাম ইরা।

এ বিভাগের আরো খবর