বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুড়িগঙ্গার পাশে ৭৪ স্থাপনা উচ্ছেদে তিন মাস সময়

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২১ ১৪:৩৮

নদীর সিএস/আরএস জরিপ অনুসারে ঢাকার জেলা প্রশাসক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ কাজে সহযোগিতার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ডিএমপির কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকার ৭৪টি অবৈধ স্থাপনা তিন মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

নদীর সিএস/আরএস জরিপ অনুসারে ঢাকার জেলা প্রশাসক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ কাজে সহযোগিতার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ডিএমপির কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ২৬ জুন হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু রায়। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম।

কী ছিল জরিপের নির্দেশে

গত বছরের ১২ অক্টোবর বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর) এলাকায় নদীর জায়গা দখলকারীদের চিহ্নিত করার জন্য জরিপের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে নদীর আদি চ্যানেলের সিএস/আরএস পর্চা অনুসারে জরিপ করে অবৈধ দখলকারীদের তালিকাসহ প্রতিবেদন দিতে জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয় আদালত।

এ নির্দেশনা অনুযায়ী জরিপের জন্য ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কয়েক মাস জরিপ কার্যক্রম শেষে নদীর জায়গা দখলকারীদের তালিকা হলফনামা আকারে হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়।

ওই তালিকা অনুযায়ী এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে টিনশেড বাড়ি, চারতলা ভবন, একতলা ভবন, মাটি ভরাট, মসজিদের আংশিক স্থাপনাসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ি, সরকারি হাসপাতাল, ইন্ডাস্ট্রি, সুপার মার্কেট প্রভৃতি।

৯ দফা নির্দেশনা

নদীর অবৈধ দখল বন্ধ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০০৯ সালে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদের বেঞ্চ নদীর সীমানা জরিপ ও দখলকারীদের উচ্ছেদসহ ৯ দফা নির্দেশনা দেয়।

ওই রায় অনুসারে জরিপের সময় হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ ‘আদি চ্যানেল’ জরিপের বাইরে রাখা হয়।

সেই জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রায় ৭৪টি প্রতিষ্ঠান বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেলের জায়গা দখল করে রেখেছে। রায় অনুসারে তা উচ্ছেদ/অপসারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ কারণে সেসব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নতুন করে হাইকোর্টে আবেদন করে সংগঠনটি।

এ বিভাগের আরো খবর