বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোনার বাংলা গড়তে পাশে থাকবে চীন

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২১ ২১:৪৯

জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পাঠানো এক ভিডিওবার্তায় নিজের অবস্থান তুলে ধরেন চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং।

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘নতুন উচ্চতায়’ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং।

জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বুধবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পাঠানো এক ভিডিওবার্তায় নিজের এই অবস্থান তুলে ধরেন চীনা রাষ্ট্রপতি।

শি জিনপিং বলেন, ‘৯৭ ভাগ বাংলাদেশি পণ্য চীনে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তরোত্তর সম্পর্ক তৈরির বিষয়টি আমি বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’

বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলো তৈরিতে চীনের সহযোগিতার কথা জানিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন কৌশলকে আরও শক্তিশালী এবং এগিয়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করে যাব।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৫০ বছর আগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন শেখ মুজিব। তিনি আজীবন তার দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে গেছেন। অবশ্যই আজকের দিনে বাংলাদেশের জনগণ তাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে কাজ করছে দেশটির ১৬ কোটি মানুষ।’

বঙ্গবন্ধু চীনের খুব ভালো বন্ধু ছিলেন জানিয়ে শি জিনপিং বলেন, ‘১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে দুই দফা চীন সফর করেছিলেন তিনি। চীনের অবিসংবাদিত নেতা মাও সে তুংয়ের সঙ্গে তার ছিল ভালো বন্ধুত্ব।

‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আমার পূর্বসূরি নেতাদের কথা, যারা চীন-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রচনা করেছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও আমাদের এই সম্পর্ককে অটুট রাখতে হবে।’

এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রণীত পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- বাংলাদেশ সরকারের এই পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, যা অসাধারণ।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসাও ছিল চীনা রাষ্ট্রপতির কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পাঁচ দশকে একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশের জনগণ। জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।'

উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬-এর ওপর রাখতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। জীবনমানের উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনে গোটা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বাংলাদেশ।’

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় চীন আনন্দিত জানিয়ে শি জিনপিং বলেন, ‘চীন এবং বাংলাদেশ সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। ৪৬ বছর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দুটি দেশ একে অপরকে পারস্পরিক সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। একে অপরকে সহযোগিতা করে, একসঙ্গে সাফল্যও উদযাপন করে।’

অভীষ্ট উন্নয়নের পথে দুটি দেশই গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন।’

শি জিনপিং বলেন, ‘২০১৬ সালে আমার বাংলাদেশ সফরে, পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির মধ্য দিয়ে আমি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছি।’

করোনা মহামারি প্রসঙ্গটিও ছিল চীনা রাষ্টপতির ভিডিওবার্তায়। তিনি বলেন, ‘কোভিড মহামারি শুরু থেকে সংকট মোকাবিলায় আমরা দুই দেশ এক কাতারে দাঁড়িয়েছি। বলতে আক্ষেপ নেই, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনও যুদ্ধ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এই কঠিন সময়ে আমাদের মেডিক্যাল সেবা দিয়েছে। চীনও তার অবস্থান থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। এই কঠিন সময়ে এই দুই দেশ একে অপরকে পারস্পরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’

বাংলাদেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও জনগণের মঙ্গল কামনা করে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বলেন, ‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী অটুট থাকুক।’

এ বিভাগের আরো খবর