মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারত।
সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে অংশ নিতে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকায় আসার সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসবেন।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেখা করে মন্ত্রীকে তিনি এ তথ্য জানান ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সরকারিভাবে নেয়া হয়েছে ১০ দিনের অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। শেষ দিনের আয়োজনে ঢাকায় আসবেন মোদি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থান করে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। ভারত সরকার সে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়, অস্ত্র দিয়ে সহায়তার পাশাপাশি ডিসেম্বরে নিজেরাও যুদ্ধে অংশ নেয়। আর ১৬ ডিসেম্বর যৌথ বাহিনীর কাছেই আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
দেশে আসার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ভারতীয় সরকার প্রধানকে স্বাগত জাানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দর থেকেই মোদি যাবেন জাতীয় স্মৃতি সৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে। সেখান থেকে তিনি যাবেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে।
একই দিন বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।
পরদিন টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করবেন ভারতীয় সরকার প্রধান। পরে সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে দুটি মন্দির পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
বিকেলে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে দুটি স্মারক ডাকটিকেট উন্মোচন করবেন।
প্যারেড স্কয়ার থেকেই মোদি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং রাতেই দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন।