জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে ধূর্তামি, চালাকি বা অসততা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সামাদ বলেন, ‘একজন মানুষ কতটা সাহসী, সৎ ও কর্মনিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বড় হয়, সে শিক্ষা বঙ্গবন্ধুর তিন খণ্ডের মহাকাব্যিক আত্মজীবনী পড়লে আমরা জানতে পারি।
‘কোনো চালাকি, ধূর্তামি, অসততা বঙ্গবন্ধুর জীবনে নেই৷ আর এ কারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হয়ে উঠেছেন। এ জায়গা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া জরুরি।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম একটি জাতিরাষ্ট্রের জন্ম। তার জন্ম হয়েছিল বলেই আমরা একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র লাভ করেছি। একটি জাতির উত্থান ঘটানোর জন্য বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমরা তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটা স্বাধীন দেশ জন্মের জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। জাতির দুর্ভাগ্য, আমরা সেই অবিসংবাদিত নেতাকে খুব অল্প সময়ে হারিয়ে ফেলেছি।
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু যদি তার স্বাভাবিক জীবন পেতেন, তাহলে আজকে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে উঠতে পারত। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা যে উন্নতির দিকে যাচ্ছি, আমি আশাবাদী, উন্নত বিশ্বের কাতারে শামিল হতে আমাদের খুব বেশি দিন সময় লাগবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামানের পরিচালনায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।