সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুজিব শতবর্ষ ও বংলাদেশের স্বধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সোলিহ।
বুধবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে দর্শনার্থীদের বইয়ে মতামত লেখেন।
স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা লাগান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। পরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়ালে যান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সোলিহ।
স্মৃতিসৌধে গাছের চারা রোপণ করেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টঐতিহাসিক এ বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর নানা স্মৃতি ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি তার ঢাকার আবাসস্থল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইআর ৩০০ ফ্লাইটটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সোলিহর সঙ্গে এসেছেন ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদও।
বিমানবন্দরে ভিভিআইপি টার্মিনালে গিয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর সোলিহকে বিমানবন্দরে উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি। সফরকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান করবেন সোলিহ।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সোলিহ। ছবি নিউজবাংলাসশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে। এ সময় তার সম্মানে তোপধ্বনি দেয়া হয়।
লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় সোলিহকে। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীতের সুর বাজায় ব্যান্ড দল।
এ সফরে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্ৰী আব্দুল্লাহ শহিদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্ৰীসহ মোট ২৭ জনের প্রতিনিধিদল রয়েছে।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান সোলিহ।