দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নয়, আদালত দেবে।
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া নিয়ে যতদিন আইন বা বিধি না হচ্ছে, ততদিন সংশ্লিষ্ট বিশেষ জজ আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে মঙ্গলবার রায় দিয়েছে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রায়ে আদালত বলেছে, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। এ বিষয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিমালা করা প্রয়োজন।
‘আশা করছি, দুদক বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আইন বা বিধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমানের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে।
আদালতে আতাউর রহমানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুন্সী মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম ফজলুল হক।
দুদক ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট আতাউর রহমানের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দেয়। এর পর ২২ অক্টোবর তিনি তার সম্পদের তথ্য দুদকে জমা দেন।
সম্পদের তথ্য পেয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানকালে গত ২০ ডিসেম্বর আতাউর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি পাঠায় দুদক।
এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন আতাউর রহমান। এই আবেদনে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেছিল। সেই রুলের নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার এই রায় দিল হাইকোর্ট।