জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা মহড়া চালিয়েছে র্যাব। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই অর্ধশতাধিক গাড়ি নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দুই প্রান্ত প্রদক্ষিণ করেছেন র্যাব-২-এর সদস্যরা। প্রদক্ষিণ শেষে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি করা হয়।
মহড়ায় অংশ নেয়া র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পাঁচজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান আমাদের দেশে আসবেন। তাদের এবং উৎসব উদযাপনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবেই এ ধরনের চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ১০ দিনের আয়োজনে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জলে-স্থলে এবং আকাশপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা জানিয়েছেন তিনি।
ডিজি বলেন, ‘আয়োজনকে কেন্দ্র করে র্যাবের বিভিন্ন চেকপোস্টে অন-সাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম ডিভাইস বসানো হবে। এর মাধ্যমে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের চেহারা, নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘১৭-২৬ মার্চ অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী নিরাপত্তা দেবে র্যাব। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে চায় তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের ডিজি বলেন, ‘কোনো ধরনের হুমকি নেই। এ ছাড়া কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও নেই। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটলে তা মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।'
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যুতে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট ও স্পেশাল ফোর্সেস নজরদারি করবে।’
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশেই আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে আমাদের এই কার্যক্রম চলবে।