বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মঞ্চ প্রস্তুত, উদযাপনের অপেক্ষা

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২১ ২১:৩৪

১০ দিনের জমকালো আয়োজন সামনে রেখে তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার, পদ্মা সেতু, জাতীয় মাছ ইলিশসহ দৃষ্টিনন্দন নানা প্রতিরূপ, যা আবহমান বাংলা এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের কাছে যেতেই ভেসে আসছিল সমবেত সংগীতের মূর্ছনা। গানে, নাচে শেষ মুহূর্তে নিজেদের ঝালাই করে নিচ্ছিলেন দেশ-বিদেশের শিল্পীরা। আর কয়েক ঘণ্টা পর পর্দা উঠবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ণাঢ্য আয়োজনের। বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের দিক তুলে ধরা হবে প্রতিটি পরিবেশনায়। গান, নাচ, অভিনয়- সবকিছুর মধ্যে উঠে আসবে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন।

১০ দিনের জমকালো এই আয়োজন সামনে রেখে তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার, পদ্মা সেতু, জাতীয় মাছ ইলিশসহ দৃষ্টিনন্দন নানা প্রতিরূপ, যা আবহমান বাংলা এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

আবহমান বাংলার দৃষ্টিনন্দন নানা প্রতিরূপ

১৭ মার্চ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে হবে জমকালো এই আয়োজন। আলোচনা শেষে শুরু হবে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। করোনা মহামারির কারণে প্রতিদিন ৫০০ করে অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাদের সবাইকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদ সঙ্গে নিয়ে।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি সদস্যরা। এ সময় কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এই আয়োজনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি যোগ দেবেন পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা।

নূর বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে খুবই আবেগের মধ্য দিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। তবে এ ক্ষেত্রে একটু বলে রাখি যে আমাদের প্রথম দিকে যে প্রস্তুতি ছিল, সেটা পুরোটাই ছিল ভার্চুয়াল। পরবর্তীতে এখানে কিছু পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তনগুলো হলো আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বেশকিছু, তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান সশরীরে উপস্থিত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাতে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুরো অনুষ্ঠান নতুন করে সাজানোর নির্দেশ দেন।’

গানে, নাচে শেষ মুহূর্তে নিজেদের ঝালাই করে নিচ্ছিলেন দেশ-বিদেশের শিল্পীরা।

ভার্চুয়াল থেকে বের হয়ে শারীরিক উপস্থিতির অনুষ্ঠান সাজাতে গিয়ে কিছুটা ভাবনায় পড়েন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আলোচনার অংশটুকু, যেটা ভার্চুয়াল ছিল, সেটা এখন ফিজিক্যাল প্রেজেন্সে হচ্ছে, পাঁচ দিন এইভাবে সাজিয়েছি। পাঁচ দিন ভার্চুয়ালি হবে। প্রতিটি দিনের জন্য আলাদা থিম রয়েছে। সেই থিম অনুযায়ী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো সাজানো হয়েছে। আলোচনার ক্ষেত্রেও স্থানীয় আলোচক, তারাও মোটামুটি ওই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আলোচনা করবেন। আর বাইরের যারা অতিথি, তারা তাদের মতো করে আলোচনা করবেন।

প্রথম দিন ‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছো জ্যোতির্ময়’ থিম নিয়েই অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে বলে জানান বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক কামাল আবু নাসের চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘একটা অনন্য সময় অতিক্রম করছি। সেই সময়টা হলো বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মেলবন্ধন। এই মেলবন্ধন হচ্ছে, একদিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর অবকাশ আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর যে সময়, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের যাত্রা শুরু করেছিলেন সোনার বাংলা গঠনের জন্য, সেই স্বপ্নযাত্রার সঙ্গে আরেকটি পর্যায়ের মেলবন্ধন। এই মেলবন্ধন হচ্ছে আমাদের শ্রদ্ধার মেলবন্ধন, এই মেলবন্ধন হচ্ছে ভালোবাসার মেলবন্ধন, অগ্রগতির মেলবন্ধন।’

চিত্রকর্মে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন মুহূর্ত

ভেঙেছে দুয়ার, এসেছো জ্যোতির্ময়

বিকেল সাড়ে ৪টায় শিশুশিল্পীদের কণ্ঠে সমবেত জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল আয়োজন। প্রদর্শিত হবে মুজিব চিরন্তন নিয়ে একটি অ্যানিমেশন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

এরপর প্রচার করা হবে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পাঠানো ভিডিওবার্তা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পুরো আয়োজনে সভাপতিত্ব করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সন্ধ্যায় বাংলাদেশ এবং ভারতীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে থাকবে প্রায় এক ঘণ্টার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

এ বিভাগের আরো খবর