দোকানের কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ মার্চ ধার্য করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক কে এম রবিউল আলম অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন এই তারিখ দেন ।
গত ৮ মার্চ এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে শুনানির জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছিল আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
গত ২০ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালতে অস্ত্র ও মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল মালেক।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারের জন্য এই আদালতে বদলির আদেশ দেন ঢাকার মহানগর আদালতের হাকিম মামুনুর রশিদ।
অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে ১৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এই আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে গোল্ডেন মনিরের ।
গত বছরের ২১ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার নিজ বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গয়না, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দুটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়। যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।
তার ‘অটো কার সিলেকশন’ নামের গাড়ির শোরুম থেকে আরও তিনটি অনুমোদনহীন বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির।
রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি।
তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।
এর আগেও গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এবং রাজউকের একটি মামলা রয়েছে। মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও সোনার চোরাকারবারি। এ থেকেই তিনি পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ হিসেবে।
গত ২১ নভেম্বর আটক মনিরকে বাড্ডা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। এ সময় মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা ও মাদক আইনে তিনটি মামলা করে র্যাব।