স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় ‘বাংলাদেশ থেকে ভারতে নৌপথে খাদ্যপণ্যের প্রথম পরিবহন এবং রপ্তানি’ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো নৌপথে ভারতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পণ্য রপ্তানির যাত্রা শুরু হলো।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মঙ্গলবার নরসিংদীর পলাশে অবস্থিত ‘প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’-এর জেটি থেকে ভারতগামী খাদ্যপণ্যবাহী জাহাজের যাত্রার উদ্বোধন করেন।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পণ্য বিশ্বের ১৪৫টি দেশে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে। নরসিংদীর পলাশে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ক্যান্ডি, বিস্কুট, বেকারি, কনফেকশনারি, ফ্রুটড্রিঙ্ক, জুস, বেভারেজ, হিমায়িত খাদ্যসহ নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্য ও পিভিসি পাইপ, চেয়ার, টেবিলসহ উৎপাদিত পণ্যের অধিকাংশ এতদিন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সড়কপথের মাধ্যমে রপ্তানি হয়ে আসছে। এখন নৌপথেও সরাসরি রপ্তানি শুরু হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নৌপথে খাদ্যপণ্যের প্রথম চালান হিসেবে প্রাণ গ্রুপের পণ্য ২৫ হাজার কার্টন লিচি ড্রিঙ্ক নরসিংদীর পলাশে অবস্থিত প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক থেকে মঙ্গলবার রওনা হয়ে কলকাতা বন্দরের টিটি শেডে গিয়ে পৌঁছাবে। এটি স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করলে ২৫টি ট্রাকের প্রয়োজন হতো। প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রাণ গ্রুপের রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৭ সালে ত্রিপুরাতে চানাচুর রপ্তানির মাধ্যমে। সেখান থেকে এখন ভারতের ২৮টি রাজ্যের প্রতিটিতেই প্রাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌপথে সরাসরি ভারতে পণ্য রপ্তানি করতে যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ উদ্যোগের ফলে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়বে। কারণ নৌপথে পণ্য পরিবহন তুলনামূলক সাশ্রয়ী। তাছাড়া কলকাতাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে খাদ্যপণ্যসহ বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আশরাফ, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।