বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কার্টুনিস্ট কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা: প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২১ ২২:৫৯

সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগকে তদন্ত করে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কারাগারেই মারা যান মামলার আসামি লেখক মুশতাক আহমেদ। এ পর্যন্ত মামলার প্রতিবেদন দেয়ার তারিখ তৃতীয়বারের মতো পেছাল।

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত।

সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবু বকর ছিদ্দিক প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেয়ার নতুন তারিখ দিয়েছেন ১৫ এপ্রিল।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন মামলার অন্যতম আসামি দিদারুল ভুঁইয়ার আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম।

কার্টুনিস্ট কিশোরসহ ১১ জনের নামে ২০২০ সালের ৫ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় এই মামলা করে র‍্যাব। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়।

১৩ জানুয়ারি কাটুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর, রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র দেয় রমনা থানা পুলিশ। এতে মামলা থেকে আট জনকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়।

এরা হলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, নেত্র নিউজের সম্পাদক ও সুইডেন প্রবাসী তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন শায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।

১০ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগকে তদন্ত করে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কারাগারেই মারা যান মামলাটির অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি লেখক মুশতাক আহমেদ। জামিনে রয়েছেন দিদারুল ভুঁইয়া ও আহমেদ কবীর কিশোর।

পরে মামলার প্রতিবেদন দেয়ার তারিখ তৃতীয় দফায় পেছায়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছে। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।

অভিযোগে বলা হয়, আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন, শাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনাভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়।’

এজাহারে আরও বলা হয়, ‘হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর