বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শুধু বাঙালির নয়, গোটা বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের লড়াইয়ের প্রতীক বলেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন।
ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার সংগ্রামে দেশের মানুষকে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব বান কি মুন।
মানবাধিকার প্রশ্নে তার দৃঢ়তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নিপীড়িত মানুষের জন্যও ছড়িয়ে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বান কি মুন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের চতুর্থ পর্ব ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশের চেতনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধে তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রভাব বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছে বিশ্বের ঔপনিবেশবাদবিরোধিতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে।’
বঙ্গবন্ধুর সমন্বিত কূটনীতির কারণে স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশে সার্বিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায় এবং এ কারণেই লাখো মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বান কি মুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একজন দূরদর্শী ও বিরল নেতা, বাংলাদেশের উন্নয়নই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। মানবাধিকার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে ছিলেন তিনি।’
প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসাও করেছেন বান কি মুন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দিল্লিতে দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের একজন কূটনীতিক ছিলেন বান কি মুন। স্বাধীনতার দুই বছর পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে দক্ষিণ কোরিয়া। সেই চুক্তির প্রতিনিধিদলেও ছিলেন বান কি মুন।
সেদিনের স্মৃতিচারণ করে তিনি জানান, তার কলম দিয়েই ভারত ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চুক্তিতে সই করেন।
বান কি মুন বলেন, ‘এখনও সেই কলম আমি নিজস্ব স্যুভেনির হিসেবে সংরক্ষণ করেছি। এটা আমার ব্যক্তিগত স্মৃতি।’