উন্নয়ন ও অগ্রগতির কোনো কিছুতেই পাকিস্তান আমাদের ধারেকাছে নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষে শপথ করি, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি।’
বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন শিল্পসচিব কে এম আলী আজম, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহসভাপতি মো. মুন্তাকিম আশরাফসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে। যাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের ঋণ একমাত্র দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজের মাধ্যমেই শোধ করতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। সোনার বাংলা মানে, দেশের জনগণ ভালো থাকবে, উন্নত জীবন পাবে, শিক্ষিত হবে, বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানো। কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাংলাদেশ পছন্দ হয়নি, তারা চেয়েছিল পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরে যেতে। দীর্ঘ ২১ বছর তারা চায়নি দেশের উন্নয়ন হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গত ১২ বছরে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির কোনো কিছুতেই পাকিস্তান আমাদের ধারেকাছে নেই।’
টিপু মুনশি আরও বলেন, ভোক্তার অধিকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। দায়িত্বশীলদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ জন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।
করোনার সময় কিছু কিছু লোক সুযোগ-ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠে থাকায় করোনা আক্রান্ত ভোক্তারা কম বঞ্চিত হয়েছেন। ভবিষ্যতেও তিনি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মকাণ্ডে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার তাগিদ দেন।