করোনাভাইরাস চিকিৎসায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে জাল টাকার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী র্যাব-১ সিপিও (সিম্যান) মজিবুর রহমানসহ চারজন।
অপর তিন সাক্ষী হলেন র্যাবের এএসআই সানাউল্লাহ, সিপাহী আনিছুর রহমান ও ভ্রাইভার ল্যান্স নায়েক মো. নুরুল হক। সাক্ষীদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম।
মামলাটিতে মোট সাক্ষী ১৩ জন। আগামী ২৫ মার্চ বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ রেখেছেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার।
একই আদালত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত বছরের ১৫ জুলাই র্যাব-১ এর একটি দল উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সাহেদের একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৫০০ টাকার ২৯২টি জাল নোট, একটি স্যুটকেস, একটি এটিএম কার্ড উদ্ধার করে।
অভিযানের রাতেই জাল টাকা রাখার দায়ে সাহেদ ও পারভেজের বিরুদ্ধে র্যাব-১ কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
মামলাটির তদন্ত শেষে ১ নভেম্বর আসামি দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
১৪ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়ার বরুন বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পর দিন ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকেও গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। পরে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়।
জাল টাকা ছাড়াও করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণা, জালিয়াতি, অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ অন্তত ৩০টি মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ।