একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ১ এপ্রিল। দেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এটা হবে ষষ্ঠ অধিবেশন।
সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই অধিবেশন আহ্বান করেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের দ্বিতীয় এই অধিবেশন শুরু হবে ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায়।
এর আগে একাদশ অধিবেশন বসে ১৮ জানুয়ারি। ১২ কার্যদিবসের ওই অধিবেশন শেষ হয় ২ ফেব্রুয়ারি।
একাদশ অধিবেশন নিয়ে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, অধিবেশনে কার্যপ্রণালি-বিধির ৭১ বিধিতে ৪৬টি নোটিশ আসলেও একটিও আলোচনায় আসেনি। আর প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেয়ার জন্য প্রশ্ন আসে মোট ৮৪টি। এর মধ্যে তিনি উত্তর দেন ২৮টি প্রশ্নের।
করোনার মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গত পাঁচটি অধিবেশনেই সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ ছিল সীমিত। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া সাপেক্ষে অধিবেশনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয় সংসদ সদস্যদের। প্রতি কার্যদিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয় সর্বোচ্চ ৯০ জনকে সংসদ সদস্যকে।
অধিবেশন চলার সময় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদেরও সংসদ ভবনে প্রবেশ সীমিত ছিল। ভবনে প্রবেশে অনুমতি দেয়া হয়নি সাংবাদিকদেরও। এবারও তাই করা হবে বলে সংবদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।
রীতি অনুযায়ী অধিবেশন শুরুর আগে স্পিকারের সভাপতিত্বে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত কয়েকটি অধিবেশনে বৈঠকটি হয়নি।
অবিবেশন শুরুর দিন প্রথা মেনে সংসদের উত্তর প্লাজা বা প্রেসিডেন্ট প্লাজা দিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি। প্রতিবছর ফুল দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানানো হলেও করোনার কারণে গত কয়েকটি অধিবেশনে তা হয়নি।
সংসদ ভবনে প্রবেশ করে রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত লিফটে করে সাত তলায় নিজের চেম্বারে যাবেন। সেখান থেকে অধিবেশন কক্ষে যাবেন। স্পিকার তাকে আমন্ত্রণ জানালে বিউগলে ফ্যানফেয়ার বাজবে। রাষ্ট্রপতি সংসদে ঢুকলে নিয়মানুযায়ী জাতীয় সংগীত বাজানো হবে।
অধিবেশন কক্ষে স্পিকারের পাশের চেয়ারে বসবেন রাষ্ট্রপতি। তাকে ভাষণ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানোর পর ডায়াসে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেবেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ থেকে ঠিক করে দেয়া ভাষণের সংক্ষিপ্তসার সংসদে পাঠ করবেন রাষ্ট্রপ্রধান।