ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া ১০ বার পিছিয়েছে।
প্রতিবেদন জমা দেয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিল সোমবার। তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আসলাম উদ্দীন মোল্লা প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হন।
প্রতিবেদন না পেয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের (সিএমএম) বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী ৪ এপ্রিল নতুন তারিখ দিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত দিনে নবমবারের মতো প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় বিচারক ১৫ মার্চ দিন ঠিক করেন।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এ মামলার প্রধান আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন।
অন্য পাঁচ আসামি একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর, নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকী। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনেন মামলার বাদী।
আসামিদের মধ্যে নাজমুল হাসান সোহাগ কারাগারে আছেন। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হুদা উচ্চ আদালতের আদেশে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জামিন পেয়েছেন।