বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রমনা বটমূলে হামলা: আপিল শুনানি পিছিয়ে ঈদের পর

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২১ ২০:৫৮

একসময় আপিল শুনানি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পর্যায়ে গেলেও আদালতের বিচারিক ক্ষমতা পরিবর্তন হওয়ায় বহুল আলোচিত মামলাটি আর শেষ হয়নি। এরপর কয়েক দফা আদালত পরিবর্তন হয়ে মামলাটির আপিল শুনানি ঝুলে যায়। দীর্ঘদিন পর রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এলেও রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনে সেটিও পিছিয়ে গেছে।

রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলার আপিল শুনানি আবারও পিছিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মে পরবর্তী দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।

একসময় আপিল শুনানি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পর্যায়ে গেলেও আদালতের বিচারিক ক্ষমতা পরিবর্তন হওয়ায় বহুল আলোচিত মামলাটি আর শেষ হয়নি। এরপর কয়েক দফা আদালত পরিবর্তন হয়ে মামলাটির আপিল শুনানি ঝুলে যায়।

দীর্ঘদিন পর রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এলেও রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনে সেটিও পিছিয়ে গেছে।

বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি শুনানির জন্য ৩০ মে দিন ঠিক করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ মামলাটি কার্যতালিকায় ছিল। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময় আবেদন করি। তার কারণ অ্যাটর্নি জেনারেল বেশ কয়েক দিন কিছুটা অসুস্থ। বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে সময় আবেদন করলে আদালত ঈদের পরে অর্থাৎ ৩০ মে দিন ঠিক করে দেন।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি হয়। শুনানিও শুরু হয়। কিন্তু কয়েক দফা আদালত পরিবর্তন হওয়ায় গত ৭ বছরেও শেষ হয়নি মামলাটি।

২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়।

ওই বছরের ১৪ মার্চ চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিনও ঠিক হয়। কিন্তু তারপর মামলাটি আর এগোয়নি। কার্যতালিকা থেকেও বাদ যায়।

পরে মামলাটি যায় বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এসএম আব্দুল মোবিনের বেঞ্চে। সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পরও শুনানির জন্য আসেনি। পরে ওই আদালতের বিচারক রদবদল হওয়ায় মামলাটির আর শুনানি হয়নি।

২০১৪ সালের ২৩ জুন রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন।

রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ আটজনকে ফাঁসির ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত।

এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। তবে পলাতক আসামিদের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হয়নি।

মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন মওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আব্দুল হাই, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মাওলানা আরিফ হাসান সুমন। মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে অন্য একটি মামলায়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাফেজ মওলানা আবু তাহের, মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া, মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মওলানা আব্দুর রউফ ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে হুজি জঙ্গিদের ওই বোমা হামলায় ১০ জন নিহত এবং অনেকে আহত হন।

এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয় থানায়। ২০০৮ সালের ২৯ হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর