কোনো সংবাদমাধ্যমে একই বিষয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক ছাপানো কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার দৃষ্টিতে এ ধরনের সংবাদ উপস্থাপনা ‘হাস্যকর’।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের বাংলাদেশ সাংবাদিক জোট (বাসাজ) আয়োজিত ‘বাসাজ পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটি গণমাধ্যমে বলা হলো, চালের দামে ঊর্ধ্বগতি, আবার নিচের আরেকটি নিউজে বলা হচ্ছে ধানের দাম পাচ্ছে না কৃষক। এটা হাস্যকর ছাড়া কিছু হতে পারে না। চালের দাম বাড়লে ধানের দাম বাড়বে এটাই হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বলা হচ্ছে একটা নেতিবাচক অপরটি ইতিবাচক, কীভাবে হয়?’
এই ধরনের প্রতিবেদন ছাপানোকে ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ বলে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ দেশের জন্য অলংকার। এর মাধ্যমে ভুলত্রুটি উঠে এলে তা সংশোধনের সুযোগ পায়, এতে দেশে কল্যাণ বয়ে আসে।
‘অন্যদিকে একই গণমাধ্যমে একটি বিষয়ে দুই ধরনের প্রতিবেদনও দেখা যায়। এটা হলুদ সাংবাদিকতার অংশ, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর, উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর।’
দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজনকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছি। তিনি ক্ষমতায় আসার সময় দেশের অবস্থা খুব ভালো ছিল না। এখন দেশের উন্নয়ন অব্যাহত আছে, জিডিপি গ্রোথ ভালো অবস্থানে, অবকাঠামো সব দৃশ্যমান, পদ্মাসেতুসহ আরও বড় বড় প্রকল্প শেষের দিকে। শেখ হাসিনা থাকবে, দেশের উন্নয়নও চলবে।’
গণমাধ্যমকে সমাজের চতুর্থ দর্পণ হিসেবে তুলে অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘তারা সমাজের ত্রুটি তুলে ধরছেন, অন্যায়কে তুলে ধরছেন যেসব অন্যায় দেশের জন্য ক্ষতিকর। আমরা সব সময় গণমাধ্যমের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।
‘কোভিড-১৯ মহামারিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। সে সময়ে আমরা সাড়ে ৩ হাজার সাংবাদিকের মাঝে ১০ হাজার করে টাকা বিতরণ করেছি। গণমাধ্যমের দীর্ঘ দিনের দাবি গণমাধ্যমকর্মী আইন ও সম্প্রচার নীতিমালার। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি, খুব শিগগিরই এটা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল।